ছবি: সংগৃহীত।
বেতন নেই প্রায় সাত মাস। সে বকেয়া আদায়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের মধ্যেই বিএসএনএল জানাল, সংস্থার কেরল সার্কলের ৩০ শতাংশ অস্থায়ী কর্মী ছাঁটাই করা হবে। এক সপ্তাহ আগেই এ নিয়ে সার্কুলার জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি সংস্থার মোট ব্যয়ভারের ৩০ শতাংশ কাটছাঁটও করা হবে।
দ্য হিন্দু-তে প্রকাশিত এক রিপোর্ট সূত্রে খবর, ২০ অগস্ট সংস্থার অডিট কমিটির বৈঠকে কর্মী ছাঁটাইয়ের সুপারিশ করা হয়েছিল। ওই সুপারিশে আরও বলা হয়েছিল, অস্থায়ী কর্মীদের দিয়ে কেবলমাত্র এমন কাজই করানো উচিত, যা স্থায়ী কর্মীদের দিয়ে করানো যাবে না।
বিএসএনএলের কেরল সার্কলের অস্থায়ী কর্মীদের অনেকেরই ২০-৩০ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তা সত্ত্বেও গত কয়েক মাসে প্রায় ২ হাজার অস্থায়ী কর্মীকে কাজ ছাড়ার কথা বলেছেন সংস্থা কর্তৃপক্ষ। এমনকি, তাঁদের কাজ থেকে সরানোর জন্য অবসরের নিয়মেও বদল ঘটানো হয়েছে। তবে শুধুমাত্র অস্থায়ীই নন, সংস্থার স্থায়ী কর্মীরাও স্বস্তিতে নেই। টানা দু’মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না তাঁরা। চলতি মাসে ওনাম (নবান্ন উৎসব)-এর আগে সে বেতন পাওয়ারও আশা নেই বলে সংস্থার অন্দরের খবর।
আরও পড়ুন: ১৫ দিনের মাথায় ফের ফিক্সড ডিপোজিটে সুদ কমাল স্টেট ব্যাঙ্ক, সুদ কমছে গৃহঋণেও
আরও পড়ুন: ২৭ সেপ্টেম্বর সম্মুখসমর! রাষ্ট্রপুঞ্জে একই দিনে বক্তৃতা করবেন মোদী-ইমরান
কর্মী ছাঁটাই ও ব্যয়ভার কমানোর এই পদক্ষেপে স্বাভাবিক ভাবেই ক্ষুব্ধ কর্মী সংগঠন। তাদের দাবি, বাইরের সংস্থাকে কাজ আউটসোর্স করার জন্য কর্মী ছাঁটাই করা হচ্ছে। তবে ছাঁটাই করা হলেও তাদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে আশা করছেন কর্মী সংগঠনের নেতারা। বিএসএনএল ক্যাজুয়াল কনট্র্যাক্ট লেবার ইউনিয়ন (সিসিএলইউ)-এর ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট কে মোহানন বলেন, ‘‘বিএসএনএলের রিভাইভাল প্যাকেজের অঙ্গ হিসাবে স্বেচ্ছাবসরের সুযোগ দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এখন যা পরিস্থিতি, তাতে বেশ কিছু কর্মী এই সুযোগ নেবেন বলেই মনে হয়।।’’ একই সঙ্গে কে মোহাননের আশা, সংস্থায় স্থায়ী কর্মীদের সংখ্যা কমানো হলে তবেই নতুন নিয়ম অনুযায়ী অস্থায়ী কর্মীদের দিয়ে কাজের চাহিদা বাড়বে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy