E-Paper

অর্থনীতির আকাশে মেঘ, দাবি কংগ্রেসের

সম্প্রতি ১০ বছর পূর্ণ করেছে দেশে উৎপাদনের কর্মকাণ্ড বাড়ানোর জন্য মোদী সরকারের কর্মসূচি ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’।

নয়াদিল্লি

শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৪ ০৬:২৪
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

ভারতের আর্থিক উন্নতির দাবি করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যতই প্রচার করুন না কেন, প্রকৃতপক্ষে তিনি নিজের বক্তৃতার মাধ্যমে অর্থনীতির ফাঁকগুলির দৃশ্যমানতা কমানোর চেষ্টা করছেন, অভিযোগ করল কংগ্রেস। সরকারকে বিঁধে জানাল, গত এক দশকে অর্থনীতি যে পিছিয়ে গিয়েছে, তা লুকিয়ে সরকারি পরিসংখ্যানের মধ্যেই। বিরোধী দলটির বক্তব্য, বর্ষা ফিরে যাচ্ছে। কিন্তু অর্থনীতির আকাশে এখনও রয়ে গিয়েছে তিনটি ঘন কালো মেঘ। বেসরকারি বিনিয়োগ থমকে যাওয়া, উৎপাদন ক্ষেত্রের গতি হারানো এবং শ্রমিকদের মজুরি ও উৎপাদন ক্ষমতা কমা। দ্রুত সমাধান না করলে দীর্ঘমেয়াদে অর্থনীতির উপরে বিরূপ প্রভাব অবশ্যম্ভাবী।

আজ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন, অতিমারির পরে অর্থনীতি যখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছে সেই সময়ে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে বেসরকারি লগ্নি কিছুটা মাথা তুলেছিল। তার পর থেকেই তা অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে চলেছে। পরের দু’টি অর্থবর্ষে বেসরকারি ক্ষেত্রের প্রকল্প ঘোষণা কমেছে ২১%। এটাই প্রমাণ করে যে লগ্নিকারীদের এখনও বাজারের উপরে আস্থা ফেরেনি। সরকারের ‘অসংলগ্ন’ নীতি এবং সরকারি তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে দিয়ে ‘অভিযান’ চালানোর ফলেই এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে দাবি তাঁর। কংগ্রেসের বক্তব্য, সংস্থাগুলি এখন তাদের মুনাফাকে ব্যবসা বাড়ানোর কাজে ব্যয়ের বদলে ঋণের বোঝা কমানোয় ব্যবহার করছে। সরকারের উৎসাহেই আয়ের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে শেয়ার বাজারের মূল্যায়নে। যা মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদের পক্ষে ক্ষতিকর।

সম্প্রতি ১০ বছর পূর্ণ করেছে দেশে উৎপাদনের কর্মকাণ্ড বাড়ানোর জন্য মোদী সরকারের কর্মসূচি ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’। প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সেই প্রকল্পের ‘সাফল্য’ প্রচার করছেন। কিন্তু কংগ্রেসের অভিযোগ, গত এক দশকে উৎপাদন ক্ষেত্রের গতি কার্যত স্তব্ধ হয়েছে। দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপিতে এই ক্ষেত্রের অবদান আটকে রয়েছে একই জায়গায়। কর্মসংস্থানের ভাগ বৃদ্ধি দূর অস্ত্‌, উল্টে কমেছে। ২০০৫-১৫ সালের মধ্যে জিডিপিতে রফতানির ভাগ বাড়লেও, এখন তা নিম্নমুখী।

এর পাশাপাশি, কংগ্রেসের বক্তব্য, ২০২২-২৩ সালের শিল্প সমীক্ষায় প্রমাণ হয়ে গিয়েছে যে, শ্রমিক প্রতি জিভিএ (কর এবং ভর্তুকি ছাড়া একটি নির্দিষ্ট শিল্প বা অঞ্চলে উৎপাদিত পণ্য এবং পরিষেবার মোট মূল্য) এবং মজুরি বৃদ্ধির হার কমেছে। উল্লেখ্য, শ্রমিক পিছু জিভিএ তাঁদের উৎপাদনশীলতাকে তুলে ধরে। ২০১৪-১৫ সালে জিভিএ বৃদ্ধির হার ৬.৬% হলেও ২০১৮-১৯ সালে তা ০.৬ শতাংশে নেমে এসেছে। রমেশের ব্যাখ্যা, মজুরি বৃদ্ধি কমার কারণেই বাজারে চাহিদা ধাক্কা খাচ্ছে। লগ্নিতে হাত গুটিয়ে রাখছে শিল্প সংস্থাগুলি।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Congress Narendra Modi

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy