E-Paper

ধনতেরসের দ্বিতীয় দিনেও ক্রেতাদের ঢল, বিক্রি বাড়ল সোনা-রুপোর গয়না, বাসনেরও

পরিসংখ্যানে প্রকাশ, সোনা-রুপোর লক্ষাধিক দাম বড় গয়নার দোকানগুলির ধনতেরসের ব্যবসায় প্রভাব ফেলেনি। পাল্লা দিয়ে ক্রেতা টেনেছে শহরের ছোট বিপণিগুলিও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৫ ০৭:২২

—প্রতীকী চিত্র।

ধনতেরসের দ্বিতীয় দিনেও চাঙ্গা ছিল গয়নার বাজার। ব্যবসায়ী মহলের দাবি, রবিবারের ব্যবসার আগের দিনের থেকে ৪০% কম হলেও, সার্বিক ভাবে দু’দিনের এই উৎসবে বিক্রি বেড়েছে বিপুল। একাংশের আশা, গয়না কেনার এই ঝোঁক বহাল থাকবে। অন্য অংশের মতে, সাধারণ ভাবে ধনতেরসের পর বিক্রি কমে। ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হতে চলা বিয়ের মরসুমের মুখে ফের চাঙ্গা হয় বাজার। সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকদের দাবি, সোনার পাশাপাশি এ বার রুপোর গয়না এবং বাসনের বিক্রিও ছিল চোখে পড়ার মতো। পাইকারি বিক্রেতা চিত্তরঞ্জন পাঁজার দাবি, এ বার ধনতেরাসে রুপোর গয়না এবং বাসনের বিক্রি আগের বারের থেকে কম করেও ৩০% বেড়েছে।

পরিসংখ্যানে প্রকাশ, সোনা-রুপোর লক্ষাধিক দাম বড় গয়নার দোকানগুলির ধনতেরসের ব্যবসায় প্রভাব ফেলেনি। পাল্লা দিয়ে ক্রেতা টেনেছে শহরের ছোট বিপণিগুলিও। তবে সূত্রের খবর, গ্রামাঞ্চলের ছবিটা ছিল আলাদা। ধনতেরসও তাদের বিক্রি মুখ তোলেনি। নদিয়ার হাবিবপুরের রামকৃষ্ণ জুয়েলারির মালিক সুবীর দে বলেন, ‘‘খদ্দের প্রধানত চাষিরা। আমাদের দোকানে বিক্রি আগের বারের থেকে প্রায় ২০% কমেছে। কারণ, সোনার আকাশছোঁয়া দাম। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ বছর ধনতেরসে গয়নার বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর পিছনে ছিল একাধিক কারণ। সেগুলি হল—

  • দাম আরও বৃদ্ধির আশঙ্কায় কেনাকাটা সেরে রাখা।
  • শখ পূরণ ও লগ্নি— এক ঢিলেদুই লক্ষ্য।
  • আগে লগ্নি হত গোল্ড ইটিএফ, পন্য লেনদেনের বাজার এবং সোনার কয়েন বা বারে। এখন ভরসা কুড়িয়েছে গয়না।
  • সাজেপ জন্য ব্যবহার করে পরে তা বিক্রি করলেও দাম আগের থেকে বেশি পাওয়ার সুযোগ।

সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, অনেকে ঘরের পুরনো গয়নার সঙ্গে কিছু নতুন সোনা যোগ করেও গয়না নিয়েছেন। আর এই সব কিছু মিলিয়েই চাঙ্গা হয়েছে গয়নার বাজার। অল ইন্ডিয়া জেম অ্যান্ড জুয়োলারি ডোমেস্টিক কউন্সিলের ডিরেক্টর সমর দে বলেন, “সাধারণ মানুষের মধ্যে গয়নাকে লগ্নি হিসাবে দেখাই তার চাহিদা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।’’ স্বর্ণশিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক টগর পোদ্দারের মতে, ‘‘আগামী দিনে বিক্রি হয়তো আগের মতো ঝিমোবে না। অঞ্জলি জুয়েলার্সের অনর্ঘ উত্তীয় চৌধুরীর দাবি, তাঁদের বিক্রি বেড়েছে ১২-১৪%।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

festive season kalipuja deepabali Diwali

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy