হাত দিলেই ছেঁকা লাগার উপক্রম। শীত পড়তে না পড়তেই ডিমের দাম ঊর্ধ্বমুখী। খুচরো বাজারে এক একটি ডিমের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে আট থেকে সাড়ে আট টাকা। এক পেটি, অর্থাৎ ৩০টি ডিমের দাম কোথাও ২৪০ আবার কোথাও ২৫০ টাকা। ডিমবিক্রেতাদের আশঙ্কা, বড়দিন ও নতুন বছরের উৎসবের আগে এক একটি ডিমের দাম ১০ টাকায় পৌঁছোতে পারে। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো হাতে এসেছে আনন্দবাজার ডট কমের।
আরও পড়ুন:
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বড়দিনে যখন চাহিদা বৃদ্ধি পাবে, তখন এক ডজন ডিমের দাম ১১০-১২০ টাকায় পৌঁছোতে পারে। শুধুমাত্র এ রাজ্যে নয়, ডিমের দামের হঠাৎ বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা দিয়েছে গোটা দেশ জুড়েই। মুম্বইয়ে অন্ধেরীর লোখন্ডওয়ালায় প্রতি ডজন ১০০ টাকা, বান্দ্রা ও ভান্ডুপ এলাকায় ৯৪-৯৬ টাকা এবং বোরীবলি, মুলুন্ড এবং নবী মুম্বইয়ে ৯০ টাকায় পৌঁছেছে এক ডজন ডিমের দর। মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ডিমের দাম এক লাফে তিন টাকা বেড়ে গিয়েছে অসমে। সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ট্রিবিউন’-এর প্রতিবেদন অনুসারে অসমে একটি ডিম ১০ টাকায় বিকোচ্ছে। ডিম ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, গত ১৫ থেকে ২০ দিন ধরে দাম প্রতি দিনই বাড়ছে। একটি ডিম ৮ টাকায় কিনতে হচ্ছে অসমের ব্যবসায়ীদের। একটি ডিম ৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে গুজরাতেও।
এক সপ্তাহ আগে পর্যন্ত দেশ জুড়ে এক ক্রেট ডিমের দাম ছিল ২১০-২২০ টাকা। কিন্তু এ বার এই বৃদ্ধি সর্বোচ্চ। এ ভাবে চলতে থাকলে ৩০টি ডিমের দাম শীঘ্রই ২৮০ টাকায় পৌঁছোতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ডিমবিক্রেতারা। অথচ এক মাস আগে প্রতি ক্রেট ডিমের দাম ১৯০-২১০ টাকার মধ্যেই ঘোরাফেরা করছিল।
এ রাজ্যের এক ডিমবিক্রেতা জানিয়েছেন, আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত ডিমের দাম কমার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজল দত্ত জানিয়েছেন, শীতকাল পড়লেই গোটা দেশে ডিমের চাহিদা বাড়ে। চাহিদার তুলনায় জোগান কমেছে। অন্যান্য মরসুমের তুলনায় শীতে প্রতিটি রাজ্যেই ডিমের চাহিদা দ্বিগুণ হয়ে যায়। এ রাজ্যে ডিমের নিজস্ব উৎপাদন থাকলেও চাহিদার বেশির ভাগটাই পূরণ করে অন্ধ্রপ্রদেশ। সেখানও জোগানে ভাটা পড়ায় ডিমের দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
আরও পড়ুন:
মধ্যবিত্ত বাঙালির খাবারের পাতে নিয়মিত সঙ্গী ডিম। অনেকেই প্রত্যেক দিন জলখাবারে নিয়ম করে ডিম খান। নিম্নবিত্তদের কাছেও অল্প দামে অনেকটা প্রোটিন পাওয়ার সহজ পদ্ধতি ডিম খাওয়া। দাম বৃদ্ধি হওয়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ ক্রেতাদেরও। যাঁরা সপ্তাহে এক পেটি ডিম কিনতেন তাঁরা পরিমাণ কমিয়ে এক ডজন বা ২০টি ডিম কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।