শেয়ার বাজারে মেগা এন্ট্রি নেবে টাটা গোষ্ঠীর নন-ব্যাঙ্কিং ফিন্যান্সিয়াল সংস্থা টাটা ক্যাপিটাল। সেই লক্ষ্যে ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং বা আইপিও আনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। এই পরিস্থিতিতে বিপুল মুনাফা করল টাটা ক্যাপিটাল। এর প্রভাব সংস্থাটির আসন্ন আইপিওর প্রাইস ব্যান্ড বা লট সাইজের উপর পড়বে বলে আশাবাদী আর্থিক বিশ্লেষকদের একাংশ। শুধু তা-ই নয়, তালিকাভুক্তির সময়েই লগ্নিকারীদের পকেট ভরাতে পারে টাটা ক্যাপিটাল।
চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে (পড়ুন জানুয়ারি থেকে মার্চ) টাটা গোষ্ঠীর এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির নিট মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩১ শতাংশ। এর পরিমাণ হাজার কোটি টাকা বলে জানিয়েছে টাটা ক্যাপিটাল। গত বছরের (পড়ুন ২০২৪) প্রথম তিন মাসে সংস্থাটির নিট মুনাফার অঙ্ক ছিল ৭৬৫ কোটি টাকা।
এ ছাড়া এ বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে পরিচালনা খাতে টাটা ক্যাপিটালের আয় বেড়েছে ৫০ শতাংশ। ফলে সেটি ৭,৪৭৮ কোটি টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। গত বছরের প্রথম তিন মাসে এই অঙ্ক দাঁড়িয়েছিল ৪,৯৯৮ কোটি টাকায়। এ ছাড়া অন্যান্য খাতেও আয় বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে টাটা গোষ্ঠীর এই সংস্থা।
গত অর্থবর্ষে (পড়ুন ২০২৪-’২৫) টাটা গ্রুপের আর্থিক পরিষেবা শাখাটির মোট আয়ের পরিমাণ ছিল ৩,৬৫৫ কোটি টাকা। ২০২৩-’২৪ আর্থিক বছরে সংশ্লিষ্ট সংস্থাটি ৩,৩২৭ কোটি টাকা আয় করতে সক্ষম হয়। এই সময়সীমার মধ্যে টাটা ক্যাপিটালের রাজস্ব ১৮ হাজার ১৭৫ কোটি থেকে বেড়ে ২৮ হাজার ৩১৩ কোটি টাকায় গিয়ে পৌঁছেছে।
গত এপ্রিলে গোপন প্রাক্-ফাইলিংয়ের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবির (সিকিউরিটিজ় অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া) কাছে আইপিও আনার জন্য খস়ড়া নথি জমা করে টাটা গোষ্ঠীর এই নন-ব্যাঙ্কিং ফিন্যান্সিয়াল সংস্থা। সংশ্লিষ্ট ফার্মটির রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা আরবিআইয়ের স্বীকৃতি রয়েছে। ইতিমধ্যেই সংস্থার প্রাথমিক শেয়ার বিক্রির জন্য অনুমোদন দিয়েছে টাটা ক্যাপিটালের পরিচালন পর্ষদ।
আরও পড়ুন:
টাটা গোষ্ঠীর এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মূল মালিকানা রয়েছে টাটা সন্সের কাছে। তারাই টাটা ক্যাপিটালের ৯২.৮৩ শতাংশ শেয়ারের মালিক। বিশ্লেষকদের দাবি, বাজারে সাফল্য পেলে এই আইপিও দেশের আর্থিক ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় স্টক বিক্রির জায়গা হিসাবে স্বীকৃতি পাবে। ২০২৩ সালের নভেম্বর তালিকাভুক্তির দিনে বিনিয়োগকারীদের পকেট ভরিয়েছিল টাটা টেকনোলজিস। দেড় বছরের মাথায় ফের টাটা গোষ্ঠীর আর একটি সংস্থা শেয়ার বাজারে পা রাখতে চলায় লগ্নিকারীদের মধ্যে বাড়ছে উৎসাহ।