Advertisement
E-Paper

ফের নতুন নজির বাজারের, সর্বকালীন উচ্চতার রেকর্ড ছুঁয়েও নিম্নমুখী সেনসেক্স-নিফটি

মুম্বই শেয়ার সূচক সেনসেক্সের সর্বকালীন রেকর্ড ছিল গত ১৮ এপ্রিল, ৩৯৪৮৭.৪৫। নিফটিও সর্বোচ্চ ছিল ওই দিনই ১১৮৫৬ পয়েন্ট। মঙ্গলবার দুই নজিরই ভেঙে সেনসেক্স পৌঁছে গিয়েছিল ৩৯৫৭১.৭৩ এবং নিফটি ছুঁয়েছিল ১১৮৮৩.৭৩ পয়েন্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৯ ১৪:৫২
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

এক্সিট পোলের পর সোমবার বাজার খুলতেই বাজারে ছিল ‘জায়ান্ট লিপ’। এক দিনে সর্বোচ্চ বৃদ্ধির রেকর্ড করেছিল সেনসেক্স এবং নিফটি। মঙ্গলবার ফের নতুন সর্বকালীন উচ্চতার নজির গড়লেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। বরং শেয়ার বাজার কিছুটা নিম্নমুখী এবং সাবধানী, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ভোটগণনায় সমীক্ষার ফল কাছাকাছি গেলে বাজার আরও কিছুটা বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত দিলেও, সেই বৃদ্ধি যে সোমবারের মতো হবে না, তাও বলে দিচ্ছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।

রবিবার শেষ দফার ভোটের পর এক্সিট পোলে ইঙ্গিত মিলেছিল, কেন্দ্রে ফের সরকার গড়তে চলেছে এনডিএ। স্থিতিশীল সরকারের আশায় পরের দিন সোমবার বাজার খুলতেই শুরু হয় ঊর্ধ্বগতি। দিনের শেষে সেনসেক্স প্রায় ১৫০০ এবং ন্যাশনাল ফিফটি (নিফটি) প্রায় ৫০০ পয়েন্ট উপরে উঠে বন্ধ হয় বাজার। সূচক ছিল আর মঙ্গলবার সকালে বাজার খোলার সময় প্রায় ৯৬ পয়েন্ট উঠে খোলে সেনসেক্স। নিফটিও ৩৫ পয়েন্ট উপরে ছিল খোলার সময়। তার পর আরও উপরে উঠে সর্বকালীন রেকর্ডও পার করে দেয় দুই সূচকই।

মুম্বই শেয়ার সূচক সেনসেক্সের সর্বকালীন রেকর্ড ছিল গত ১৮ এপ্রিল, ৩৯৪৮৭.৪৫। নিফটিও সর্বোচ্চ ছিল ওই দিনই ১১৮৫৬ পয়েন্ট। মঙ্গলবার দুই নজিরই ভেঙে সেনসেক্স পৌঁছে গিয়েছিল ৩৯৫৭১.৭৩ এবং নিফটি ছুঁয়েছিল ১১৮৮৩.৭৩ পয়েন্ট। কিন্তু বেলা বাড়তেই ধীরে ধীরে নামতে শুরু করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পতন মঙ্গলবারের ঊর্ধ্বগতির কিছুটা সংশোধনী বলা যেতে পারে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাজারে এই সামান্য অস্থিরতা থাকবেই। তাই এই সময় সাবধানে বিনিয়োগের পরামর্শও দিচ্ছেন বাজার বিশ্লেষকরা।

কিন্তু ভোট গণনার পর? আবার কি বাজারে তেজি ভাব আসবে? বিনিয়োগকারী এবং বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, ভোটের ফলের উপর বাজারের গতি কিছুটা নির্ভর করলেও নতুন করে সোমবারের মতো বিরাট ঊর্ধ্বগতির আশা কম। কারণ, শেয়ার বাজার এবং রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেছিলেন, বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফের এনডিএ-র সরকার গঠনের আশা কম। এনডিএ-র আসন সংখ্যা ২৫০ এর আশেপাশে অর্থাৎ ত্রিশঙ্কু ফলের সম্ভাবনা ধরে নিয়েই এগোচ্ছিলেন বিনিয়োগকারীরা। সেই শঙ্কায় বাজারে বিনিয়োগ কমতে এপ্রিলের শেষ থেকে এক্সিট পোলের আগে পর্যন্ত কার্যত নিম্নমুখী ছিল সেনসেক্স এবং নিফটি। রবিবার বুথফেরত সমীক্ষায় ফের এনডিএ-র ক্ষমতায় আসার ইঙ্গিত মিলতেই সোনার দৌড় দিয়েছিল।

আরও পড়ুন: আজ রাতেই হবে ইভিএম কারচুপি, কমিশনকে চিঠি আপ নেতার, স্ট্রং রুমে পাহারা বিরোধীদের

আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা রাজীবের, রক্ষাকবচের সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি শুনল না আদালত

এ বার ভোট গণনার দিন যদি বুথফেরত সমীক্ষার ইঙ্গিত মিলেও যায়, তাহলেও ইতিমধ্যেই সেই ইঙ্গিত পেয়ে শেয়ার সূচক যা উপরে ওঠার তা উঠেই গিয়েছে। নতুন করে ব্যাপক ঊর্ধ্বগতির সম্ভাবনা কম। তবে সমীক্ষা কাছাকাছি গেলে কিছুটা উপরের দিকেই থাকবে বাজার, মনে করছেন সর্বভারতীয় একটি শেয়ার ট্রেডিং সংস্থার বাজার বিশ্লেষক সৌরভ সেনগুপ্ত। অন্য দিকে সমীক্ষার ফল না মিললে ফল উল্টো হতে পারে বলেও আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের সময়ও বাজারে প্রায় একই রকম পরিস্থিতি ছিল বলে মনে করিয়ে দিয়ে সৌরভবাবু বলেন, ‘‘ওই সময়ও একই ভাবে এনডিএ-র ক্ষমতায় আসার ইঙ্গিত পেতেই শেয়ার বাজারে ব্যাপক হারে বেড়েছিল। বুথফেরত সমীক্ষার ফল বেরোতেই আগের দিনের ৬৬৬০ থেকে বেড়ে ৬৮০০তে পৌঁছে গিয়েছিল নিফটি। কিন্তু আগের বার বুথ ফেরত সমীক্ষাতেও এনডিএ জোটের এত বিপুল আসন পাওয়ার ইঙ্গিত ছিল না। ফলে ভোট গণনার দিন আরও প্রায় ৪০০ পয়েন্ট উঠেছিল।’’ তবে এ বার ভোট গণনার দিন ২০১৪ সালের মতো বাজারে ব্যাপক ঊর্ধ্বগতির সম্ভাবনা কম বলেই মনে করছেন সৌরভবাবু।

কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী ভিত্তিতে শেয়ার বাজারের এই তেজি ভাব কি থাকবে? বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজারের এই বৃদ্ধি ‘ইভেন্ট ভিত্তিক’। এর প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা নির্ভর করবে কেন্দ্রের সরকারের উপর। অর্থাৎ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার সরকার হলে শিল্পক্ষেত্রে নীতিগত সুবিধা নিতে সুবিধা হয় সরকারের। তা ছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজে গতি আসে। পদে পদে বাধার সম্ভাবনা থাকে না। বাজারের উপর আস্থা বাড়ে বিনিয়োগকারী এবং শিল্প মহলের। ফলে বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় থাকে এবং অবধারিত ভাবেই তার ফল শেয়ার বাজারে পড়ে।

Lok Sabha Election 2019 Sensex Nifty
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy