প্রতীকী ছবি।
রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের আবহে বিশ্ব বাজারে রকেটের গতিতে ছুটছে অশোধিত তেলের দর। তার সঙ্গে পাল্লা না-দিয়ে দেশে পেট্রল-ডিজ়েল এখনও স্থির। তবে চড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, ভোট মিটলেই তেলের দাম বাড়বে। সরকারি সূত্রেও সেই ইঙ্গিত। তারই মধ্যে আশঙ্কাকে হাতিয়ার করে শনিবার ফের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধীরা। টুইটে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর কটাক্ষ, ‘‘দ্রুত পেট্রলের ট্যাঙ্ক ভর্তি করে নিন, মোদী সরকারের ‘ভোট-অফার’ শেষ হওয়ার মুখে।’’ সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি অবিলম্বে পেট্রোপণ্যের উপরে কেন্দ্রীয় সেস ও সারচার্জ প্রত্যাহারের দাবি তুলেছেন।
ব্রেন্ট ক্রুড এখন ব্যারেলে ১১৮.১১ ডলার। ফলে ভোটের পরে দেশে পেট্রল-ডিজ়েলের দাম ঠিক কতটা বাড়তে পারে, সেই প্রশ্নে তুঙ্গে উঠেছে জল্পনা। আমজনতার উদ্বেগ বাড়িয়ে বিভিন্ন আর্থিক উপদেষ্টা সংস্থার দাবি, রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলির আমদানি খরচ যে ভাবে বেড়েছে, তাতে জ্বালানি দু’টির লিটারে দাম ৯-১২ টাকা বাড়াতে হতে পারে। দুর্ভোগ যে চরমে উঠতে চলেছে, তার ইঙ্গিত দিয়ে ইতিমধ্যেই দু’মাসে পাঁচ বার বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় বিমানের জ্বালানি এটিএফ। ২০০০ টাকার উপরে উঠেছে হোটেল-রেস্তরাঁয় ব্যবহৃত রান্নার গ্যাসের দাম।
রাহুল যেমন ভোটের পরে ফের তেলের দাম বাড়ার আশঙ্কা নিয়ে কেন্দ্রকে বিঁধেছেন, তেমনই ইয়েচুরির তোপ, ‘‘চার দিন পরে এখানেও হামলা শুরু হবে। এটা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। মোদী সরকারকে জ্বালানির উপর সেস ও সারচার্জ প্রত্যাহার করতে হবে।’’ ফের তেলের দাম বৃদ্ধি লক্ষ লক্ষ মানুষের রুটি রুজি ধ্বংস করবে বলেও দাবি ইয়েচুরির।
অশোধিত তেলের দামকে হাতিয়ার করে বার বার দেশে জ্বালানি দামি হওয়ার পক্ষে যুক্তি শানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও অশোধিত তেলের দাম কমলে কেন সেই হারে দেশে জ্বালানি সস্তা হয় না, সেই প্রশ্নের জবাব মেলেনি। গত সাড়ে সাত বছরে বিপুল হারে কেন্দ্রীয় উৎপাদন শুল্ক বৃদ্ধির জেরে আমজনতার ভোগান্তি প্রসঙ্গেও চুপ মোদী সরকার। সেই ভোগান্তি আর কতখানি বাড়বে, তা হয়তো বোঝা যাবে এই সপ্তাহেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy