বিশ্ব বাজারে হু হু করে বাড়ছে সোনার দাম। ফলে ঘরোয়া বাজারেও চড়েছে হলুদ ধাতুর দর। এই পরিস্থিতিতে ‘সোভারেইন গোল্ড বন্ড’ (এসজ়িবি) পুরোপুরি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। এর জেরে সোনায় লগ্নির ক্ষেত্রে মাত্র তিনটি বিকল্প খোলা।
হলুদ ধাতুতে বিনিয়োগের প্রথম রাস্তাটি হল অলঙ্কার ক্রয়। আর্থিক বিশ্লেষকেরা একে প্রথাগত লগ্নি বলে উল্লেখ করে থাকেন। দ্বিতীয় রাস্তাটি হল, গোল্ড এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড বা গোল্ড ইটিএফ। এ ছাড়াও গোল্ড মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার রয়েছে সুযোগ।
আরও পড়ুন:
শেয়ার বাজার থেকে গোল্ড ইটিএফের মাধ্যমে সোনা কিনতে পারে আমজনতা। স্টকের মতো এখানেও হলুদ ধাতুর দর ওঠানামা করে। ফলে এখান থেকে সোনা ক্রয় বাজারগত ঝুঁকিসাপেক্ষ। গোল্ড ইটিএফের প্রতি ইউনিটে থাকে এক গ্রাম করে হলুদ ধাতু। এখানে লগ্নির জন্য গ্রাহককে ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
আর্থিক বিশ্লেষকদের একাংশ, গোল্ড ইটিএফে বিনিয়োগকে নিরাপদ বলেছেন। এতে লেনদেন খুব ভাল হয়ে থাকে। সোনার লগ্নির ক্ষেত্রে গোল্ড মিউচুয়াল ফান্ডটিও একটি ভাল বিকল্প। এতে দীর্ঘ মেয়াদে দুর্দান্ত রিটার্ন পেতে পারেন গ্রাহক। প্রসঙ্গত, গোল্ড মিউচুয়াল ফান্ড একটি ওপেন এন্ডেড ফান্ড। এর মাধ্যমেও গোল্ড ইটিএফই বিনিয়োগ করে থাকেন ফান্ড ম্যানেজার। তবে গোল্ড মিউচুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে কোনও ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খোলার প্রয়োজন নেই।
গোল্ড ইটিএফের তুলনায় গোল্ড মিউচুয়াল ফান্ডে গ্রাহককে তুলনামূলক ভাবে বেশি লগ্নি করতে হবে। সোনার মিউচুয়াল ফান্ড থেকে এক বছরে ২৯.৪৫ শতাংশ পর্যন্ত রিটার্ন পেতে পারেন তিনি।
আরও পড়ুন:
বিশ্ব বাজারে বর্তমানে আউন্স প্রতি হলুদ ধাতুর দাম দাঁড়িয়েছে ২,৮০০ ডলার। বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতার খুচরো বাজারে হলমার্ক যুক্ত সোনা (২২ ক্যারেট) বিক্রি হচ্ছে ৮০,৮০০ টাকা/১০ গ্রাম দরে। পাকা সোনার (২৪ ক্যারেট) দাম ৮৫,০০০ টাকা/১০ গ্রাম-এ পৌঁছে গিয়েছে। বুধবারের, ৫ ফেব্রুয়ারি তুলনায় তিলোত্তমায় এই দুই শ্রেণির হলুদ ধাতুর দাম বেড়েছে যথাক্রমে ১,২০০ ও ১,২৫০ টাকা।