প্রতীকী ছবি।
কাজ হল আর্জিতে। শর্তসাপেক্ষে প্রভিডেন্ট ফান্ডের (পিএফ) ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বরের (ইউএএন) সঙ্গে বাধ্যতামূলক ভাবে আধার যুক্ত করার সময়সীমা বাড়াল কেন্দ্র। পিএফ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সংযুক্তি শেষ করতে হবে। আগে তা ছিল ৩১ অগস্ট। তবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির সব কর্মী এই সুবিধা পেলেও, বাদবাকি রাজ্যের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রের কর্মীরাই এই সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় পিএফ কমিশনার রাজীব ভট্টাচার্য। এর মধ্যে রয়েছে বিড়ি তৈরি, আবাসন, নির্মাণ এবং বাগিচা শিল্পের আওতায় চা, কফি, পাট, কাজুবাদাম, এলাচ, রবার, গোলমরিচ, সিনকোনা ইত্যাদি।
পিএফ কর্তৃপক্ষ আগে বলেছিলেন, অগস্টের মধ্যে পিএফ-আধার যোগ না-হলে ১ সেপ্টেম্বর থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মীর পিএফ অ্যাকাউন্টের সব কাজ বন্ধ হবে। তাঁর বেতন থেকে কাটা ও নিয়োগকারীর দেওয়া টাকা পিএফ অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে না। সংযুক্তি না-হওয়া পর্যন্ত টাকা নিয়োগকারীর কাছেই পড়ে থাকবে। তা হলে ফের স্বাভাবিক হবে জমা। শুধু টাকা না-জমা নয়, সংযুক্তি না-হওয়া পর্যন্ত পিএফের সমস্ত পরিষেবা থেকেও ওই সব সদস্য বঞ্চিত হবেন। কেউ এই সময় চাকরি ছাড়লে পিএফের টাকা তুলতে পারবেন না। নেওয়া যাবে না অগ্রিমও।
এই অবস্থায় সংযুক্তির সময় বাড়াতে কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানান রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না, কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, ইউটিইউসি-র সাধারণ সম্পাদক অশোক ঘোষ প্রমুখ। পিএফ কর্তৃপক্ষের দাবি, অধিকাংশ রাজ্যে প্রায় ৯৪% সদস্যের পিএফ-আধার সংযুক্তি সারা। কিন্তু পরিকাঠামোর অভাব ও অতিমারির সমস্যায় উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি ও অন্য রাজ্যে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রের কর্মীদের সকলে এখনও তা করে উঠতে পারেননি।
রবিবার পশ্চিমবঙ্গের আঞ্চলিক পিএফ কমিশনার কৃষ্ণ শঙ্কর বলেন, ‘‘রাজ্যের বিভিন্ন মহল থেকে মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন পিএফ দফতরে জমা পড়েছিল। তারিখ পিছোনোয় বহু কর্মী উপকৃত হবেন।’’ শ্রমমন্ত্রী বলেন, ‘‘যাঁরা সংযুক্তি সারতে পারেননি, তাঁদের জন্য ক্যাম্পের সংখ্যা বাড়াব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy