—প্রতীকী চিত্র।
চতুর্থ ত্রৈমাসিক ও গত অর্থবর্ষের বৃদ্ধির হার শুক্রবার প্রকাশের সময় তার আগের তিন মাস, অর্থাৎ তৃতীয় ত্রৈমাসিকের হারও সংশোধন করেছে (৪.৭% থেকে কমিয়ে ৪.১%) পরিসংখ্যান দফতর (সিএসও)। তার পরেই শনিবার নতুন সিরিজ়ে কেন্দ্রের অধীন এই দফতরের প্রকাশ করা সমস্ত তথ্য ও পরিসংখ্যানের মান ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলল স্টেট ব্যাঙ্কের গবেষণা শাখা ইকোর্যাপের রিপোর্ট।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, আগের ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার উল্লেখযোগ্য ভাবে সংশোধন করেছে সিএসও। যা ধন্দে ফেলার মতো তো বটেই। এতে নতুন সিরিজ়ে প্রকাশিত পরিসংখ্যানের মান নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। ইকোর্যাপের মতে, মাঝে মাঝে হিসেব সংশোধনের কারণ ব্যাখ্যা করে সেগুলি মাপার পদ্ধতি নিয়ে বিবৃতি দেওয়া উচিত সিএসও-র। জানানো উচিত, কেন গত দু-তিন বছর ধরে হিসেব বার করার বিষয়টি এমন নড়বড়ে হয়ে উঠেছে যে, তা সংশোধন করতে হয় নিয়মিত।
উল্লেখ্য, সিএসও-র রিপোর্ট বলেছে, জানুয়ারি-মার্চে বৃদ্ধির হার ৪০টি ত্রৈমাসিকের তলানিতে নেমে দাঁড়িয়েছে ৩.১%। আর গত অর্থবর্ষে তা ৪.২% ছুঁয়ে ১১ বছরের নীচে।
ইকোর্যাপ বলছে, ফেব্রুয়ারিতে ত্রৈমাসিক পরিসংখ্যান সংশোধনের ফলে বৃদ্ধি মাথা তুলেছিল। কিন্তু যতটা তুলেছিল, ফের সংশোধনের ফলে তা ততটাই কমে গিয়েছে। তা-ও মাত্র তিন মাসের মধ্যে। তাদের বক্তব্য, ‘‘অর্থনীতি কাঠামোগত বদলের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বলেই কি সিএসও ঠিক পরিসংখ্যান দিতে পারছে না? কেন তা এত অস্থির? প্রশ্নের উত্তর সিএসও-ই দিতে পারবে।’’ তাদের আশঙ্কা, শুক্রবারের পরিসংখ্যানও অগস্টে চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকের বৃদ্ধির হিসেব প্রকাশের সময় ফের সংশোধন করা হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy