হাজার হাজার কোটি টাকা ‘বেওয়ারিশ’ পড়ে রয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কে। প্রতীকী ছবি।
দেশের ব্যাঙ্কগুলিতে হাজার হাজার কোটি টাকা ‘বেওয়ারিশ’ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেই টাকার ‘বোঝা’ কমাতে ‘১০০ দিন ১০০ পে’ অভিযান শুরু করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। আর এ বিষয়ে সমস্ত ব্যাঙ্কগুলিকে বার্তাও দেওয়া হয়েছে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, দেশের ব্যাঙ্কগুলিতে ৩৫ হাজার কোটি টাকা ‘বেওয়ারিশ’ (আনক্লেমড) অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আরবিআই নতুন যে অভিযান শুরু করছে তাতে বলা হয়েছে, ১০০ দিনের মধ্যে দেশের প্রতিটি জেলার মধ্যে একটি ব্যাঙ্কে জমা থাকা ১০০টি ‘বেওয়ারিশ’ অ্যাকাউন্ট খুঁজে বার করে সেই টাকার বোঝা কমাতে হবে। আর এ ভাবেই ওই হাজার হাজার কোটি টাকার বোঝা কমানো সম্ভব হবে। শুধু তাই-ই নয়, ওই টাকার প্রকৃত দাবিদারের কাছে পৌঁছে দেওয়ারও ব্যবস্থা করা হবে।
‘আনক্লেমড ডিপোজ়িট’ কী?
যদি ১০ বছর বা তার বেশি সময় ধরে কোনও অ্যাকাউন্টের লেনদেন না হয়, সেই অ্যাকাউন্টে থাকা টাকাকে ‘আনক্লেমড ডিপোজ়িট’ বলা হয়। এ বছরে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি কোনও দাবিদার না থাকা এমন ৩৫ হাজার কোটি টাকা রিজার্ভ ব্যাঙ্কে স্থানান্তরিত করেছে। ১০ বছর বা তার বেশি সময় ধরে যে অ্যাকাউন্টগুলিতে কোনও লেনদেন হয়নি, সেই টাকাই রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে পাঠিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সূত্রে খবর, যে ‘আনক্লেমড অ্যাকাউন্ট’ থেকে এই বিপুল পরিমাণ টাকা পাওয়া গিয়েছে, সেই অ্যাকাউন্টের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১০ কোটি।
যে সব অ্যাকাউন্টের কোনও দাবিদার থাকে না, সেই সব অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে আরবিআইকে অবহিত করে ব্যাঙ্কগুলি। বিভিন্ন ব্যাঙ্কে থাকা এই ‘বেওয়ারিশ’ অ্যাকাউন্টে জমা থাকা টাকা ‘ডিপোজ়িটর এডুকেশন অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ফান্ড’-এ স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয়। আর সেই ‘বেওয়ারিশ’ অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে সচেতনতা প্রচার চালায় আরবিআই। যাতে প্রকৃত দাবিদারের কাছে সেই টাকা পৌঁছয়।
কেন বৃদ্ধি পায় ‘আনক্লেমড ডিপোজ়িট’?
অনেক সময় গ্রাহকদের মৃত্যুর পর তাঁদের নমিনিদের তরফে কোনও রকম দাবি না জানালে বা তাঁরা কোনও রকম নথি জমা না দিলে সেটি ‘আনক্লেমড’ হিসাবে গণ্য করা হয়। অবশ্যই যদি ১০ বছর বা তার বেশি সময় লেনদেন না হয়, তবেই ‘আনক্লেমড’ ঘোষণা করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy