ফাইল চিত্র
ক্ষুদ্র ঋণগ্রহীতারা যাতে বেশি মাত্রায় ধারের জালে জড়িয়ে না-পড়েন, সে জন্য মাইক্রো-ফিনান্স সংস্থাগুলির থেকে নেওয়া ঋণে তাঁদের মাসিক কিস্তি বাৎসরিক আয়ের ৫০ শতাংশে বাঁধার প্রস্তাব দিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সম্প্রতি ক্ষুদ্রঋণ শিল্পের জন্য নিয়মে বেশ কিছু সংশোধন আনার সুপারিশ করেছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। সেখানেই এই কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে এ ধরনের কোনও বিধিনিষেধ নেই।
পাশাপাশি, এখন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঠিক করে দেওয়া ফর্মুলা মেনে বছরে আয়ের নির্দিষ্ট অঙ্ক ধরে ঋণ দেয় এই সব সংস্থা। গ্রামে যা ১.২৫ লক্ষ টাকা এবং শহরে ২ লক্ষ। নতুন প্রস্তাবে সেই অঙ্ক স্থির করার দায় চাপানো হয়েছে সংস্থাগুলির উপরেই। যদিও এ নিয়ে আপত্তি জানিয়ে ক্ষুদ্রঋণ সংস্থাগুলির বক্তব্য, এতে সমস্যা বাড়বে। এই দায়িত্ব পালন করা তাদের পক্ষে কঠিন।
সেই সঙ্গে প্রস্তাবে সুদ স্থির করার ক্ষেত্রেও ক্ষুদ্রঋণ সংস্থাগুলিকে স্বাধীনতা দেওয়ার সুপারিশ করেছে আরবিআই। বলা হয়েছে, বছরে মোট ১০০ কোটি টাকার বেশি ঋণ দেওয়া সংস্থাগুলি তহবিল সংগ্রহের খরচের সঙ্গে সর্বাধিক ১০% যোগ করে সুদ ঠিক করতে পারবে। ঋণ ১০০ কোটি টাকার কম হলে তা হবে ১২%। সুদের হার জানাতে হবে সংস্থাগুলির ওয়েবসাইটে।
ক্ষুদ্রঋণ শিল্পের বক্তব্য, আয়ের অঙ্ক স্থির করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সংস্থার নানা মত থাকতে পারে। যাতে আদতে সমস্যায় পড়বেন গ্রাহকই। জনকল্যাণ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অলোক বিশ্বাস বলেন, ‘‘আলোচনা করে একটি পদ্ধতি বা ফর্মুলা তৈরির জন্য শিল্পের সংগঠন এমফিন-কে অনুরোধ করার কথা ভাবছে সংস্থাগুলি।’’ সেই সঙ্গে প্রসেসিং ফি কত হবে, তা-ও স্পষ্ট করতে বলছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy