—ফাইল চিত্র
অতিমারির কামড়ে যখন বহু মানুষ আর্থিক ভাবে বিপর্যস্ত, ঠিক তখনই বাজারে খাদ্যপণ্যের আগুন দাম দেখে মাথায় বাজ পড়েছিল সাধারণ মানুষের। সেই আঁচ যে আরও বেড়েছে, তা স্পষ্ট হল অক্টোবরে খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার আগের বছরের তুলনায় বেড়ে ৭.৬১% ছুঁয়ে ফেলায়। কারণ, সরকারি পরিসংখ্যানে দাবি, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের বেঁধে দেওয়া সহনসীমাকে (৪%+২/-২) বহু নীচে ফেলে মূল্যবৃদ্ধির হারের এমন মাথা তোলার জন্য দায়ী সেই খাদ্যপণ্যই। ফলে সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, আগামী বেশ কিছু দিন রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক সুদ কমাতে পারবে না। যদিও চাহিদা বাড়িয়ে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে শিল্প সেই অপেক্ষায় দিন গুনছে।
বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন অবশ্য বলেন, বহু এলাকায় বন্যা হওয়ায় পচনশীল পণ্যের দাম বেড়েছে। তাই চড়েছে মূল্যবৃদ্ধির হার। সরকার দাম কমানোর ব্যবস্থা করছে।
তবে সরকারকে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে দেশে শিল্পোৎপাদনের হার। যা অবশেষে সঙ্কোচনের রাহুমুক্ত হয়েছে। সরকারি হিসেব, সেপ্টেম্বরে শিল্প বৃদ্ধির হার ০.২%। অগস্টে শিল্প সঙ্কুচিত হয়েছিল ৮%।
সেপ্টেম্বরের পরে অক্টোবরেও খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার রইল ৭ শতাংশের উপরে। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, নীতিপ্রণেতাদের চিন্তা বাড়ছে, যাঁরা আর্থিক সঙ্কট থেকে ভারতের অর্থনীতিকে বার করে আনার প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। সরকার বলে আসছে, করোনার কারণে জোগান কম বলে মূল্যবৃদ্ধি এত চড়া। তবে অর্থনীতিবিদদের অনেকের দাবি, ‘‘কড়াকড়ি শিথিল হওয়া এবং যাতায়াতে উন্নতির পরেও খাদ্যপণ্যের দাম এতটা বেশি থাকা আরও জটিল সমস্যার ইঙ্গিত। ফলে কবে স্বস্তি মিলবে বলা কঠিন।
চড়ছে হার
• জুন ৬.০৯ %
• জুলাই ৬.৭৩ %
• অগস্ট ৬.৭০ %
• সেপ্টেম্বর ৭.২৭ %
(সংশোধিত)
• অক্টোবর ৭.৬১ %
উদ্বেগ
• খাদ্যপণ্যের আগুন দাম। অক্টোবরে খুচরো বাজারে তার মূল্যবৃদ্ধির হার পৌঁছেছে ১১.০৭ শতংশে। সেপ্টেম্বরে ছিল ১০.৬৮%।
নির্মলার আশ্বাস
• পচনশীল পণ্যই ঠেলে তুলছে মূল্যবৃদ্ধির হারকে। কিছু জায়গায় বন্যার জন্য সেগুলির দাম বেড়েছে।
• দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার আরও ভাল ভাবে আলু, পেঁয়াজের মতো পণ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করছে। যাতে বাইরের আবহাওয়ায় সেগুলির ক্ষতি না-হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy