গত তিন দিনের টানা পতনে বেশ কিছু ভাল শেয়ারের দর নেমে গিয়ে থিতু হয়েছে আকর্ষণীয় জায়গায়। বৃহস্পতিবার কম দামে সেই সব শেয়ার হাতে নেওয়ার সুযোগ ছাড়তে চাননি বহু লগ্নিকারী। মূলত এরই জেরে দিনের শেষে ৩১১.২২ পয়েন্ট বেড়ে যায় সেনসেক্স। দাঁড়ায় ২৫,৭৬৪.৭৮ অঙ্কে। সপ্তাহের প্রথম তিন দিনে সূচক মোট ৯৩৮.৮২ পয়েন্ট পড়েছিল।
অবশ্য শুধু শেয়ার কেনার হিড়িক নয়, সারা বিশ্বে বেশির ভাগ শেয়ার সূচকের চাঙ্গা থাকাও এ দিন ভারতে বাজারের উত্থানে ইন্ধন জুগিয়েছে। বিশেষ করে লগ্নিকারীদের মনে আশা জাগিয়েছে মার্কিন শেয়ার সূচকগুলির ঊর্ধ্বমুখী গতি।
এ ছাড়া বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, দেশে বৃদ্ধির হার আশানুরূপ না-হওয়া, পরিষেবা শিল্পের বৃদ্ধি নিয়ে ঘনিয়ে ওঠা আশঙ্কা ও সেই সঙ্গে মূল্যবৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণে থাকা এ বার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সামনে সুদ কমানোর জায়গা তৈরি করে দিয়েছে। লগ্নিকারীরা মনে করছেন, অর্থনীতির স্বার্থে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর ঋণনীতির পর্যালোচনায় বসে আরও এক দফা সুদ কমানোর পথেই হাঁটবেন শীর্ষ ব্যাঙ্ক গভর্নর রঘুরাম রাজন। এই কারণেও এখন থেকেই শেয়ার কেনার দিকে ঝুঁকছেন অনেকে।
তবে ডলারের সাপেক্ষে টাকার দর এ দিন ৫ পয়সা পড়েছে। দিনের শেষে এক ডলার হয়েছে ৬৬.২৪ টাকা।
এ দিকে পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, চলতি বছরে এশিয়া জুড়ে বিভিন্ন শেয়ার বাজারকে যখন নানা সময়ে পড়তে দেখা গিয়েছে, তখন ভারতের ওষুধ শিল্প হেঁটেছে ব্যাতিক্রমী পথে। এই সময়ে ১০ শতাংশেরও বেশি হারে বেড়েছে ডক্টর রেড্ডিজ ল্যাবরেটরিজ, ওখার্ড-সহ বিভিন্ন ওষুধ সংস্থার শেয়ার দর। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, ভারত এবং মার্কিন মুলুকে ওই সব সংস্থার ব্যবসা বাড়াতে নেওয়া বিভিন্ন কৌশল, অধিগ্রহণের মাধ্যমে পণ্যের মানোন্নয়ন এবং দ্রুত বিভিন্ন ওষুধ বিক্রিতে সায় পাওয়া— এ সবের ফলে আগামী দিনে তাদের আয় আরও বাড়বে বলে ধারণা লগ্নিকারীদের। আর সেই আশায় ভর করেই উঠছে শেয়ার দর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy