ফাইল চিত্র।
আমেরিকা নগদ জোগানোর ত্রাণ প্রকল্পে রাশ টানা (বন্ড কেনা কমানো) বা সুদ বাড়ানোর কথা বললে শেয়ার বাজার ধাক্কা খাবে, এমনটাই আশঙ্কা ছিল। অথচ দু’দিনের বৈঠক শেষে সেখানকার শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারাল রিজ়ার্ভ যখন সত্যিই নভেম্বর থেকে বন্ড কেনা কমানোর কথা বলল, তখন লগ্নিকারীরা তাতে কানই দিলেন না। বরং নগদের জোগান নিয়ে চিন্তিত হয়ে শেয়ার বিক্রির বদলে তাঁরা এত বেশি কিনলেন যে, বৃহস্পতিবার এক লাফে ৯৫৮ উঠল সেনসেক্স। এই প্রথম পৌঁছল ৫৯,৮৮৫ অঙ্কে। যার অর্থ ৬০ হাজারের মাইলফলক ছোঁয়া এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। সূচকটি ৫৯ হাজার পেরিয়েছিল গত বৃহস্পতিবার। এ দিন ১৭,৮২২.৯৫ ছুঁয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছে নিফ্টি-ও।
সূচকের এই উত্থানে কার্যত সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাদের দাবি, বাজারে উত্থান-পতন দু’টোই জরুরি। কিন্তু সংশোধন ছাড়াই সেনসেক্সের এই গতি অস্বাভাবিক। বর্তমানের সব সমস্যাকে উপেক্ষা করে ৪৭ হাজারে ২০২১ সাল শুরু করা সূচক এখন ৬০ হাজার ছুঁইছুঁই। প্রায় সকলেই বলছেন, ছোট লগ্নিকারীদের সতর্ক হয়ে এগোতে হবে। বহু শেয়ারের দর অযৌক্তিক ভাবে মাত্রাছাড়া। বিশেষজ্ঞ অজিত দে বলেন, ‘‘চিরাচরিত নিয়মে কষা হিসাব মিলছে না। তাই ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলা সম্ভব নয়।’’
বাজার নিয়ে গবেষণাকারী ভ্যালু রিসার্চের এমডি ধীরেন্দ্র কুমারের মতে, শেয়ারে খুচরো লগ্নিকারীদের টাকা ছাড়াও পেনশন প্রকল্প এনপিএস এবং কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ লগ্নি হচ্ছে। টাকা আসছে মিউচুয়াল ফান্ড থেকে। বহু সংস্থা প্রথম শেয়ার ছেড়ে টাকা তুলছে। ফলে নগদের বিপুল জোগানেই প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে বাড়ছে সূচক।
কুমার ও ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন সভাপতি কমল পারেখ বলেন, ‘‘বহু শেয়ারের দামের সঙ্গেই সংস্থার আয়ের সামঞ্জস্য নেই। তাই সামান্য ডামাডোল হলেই সূচক পড়তে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy