ট্রাম্পের শুল্কের বড় প্রভাব পড়বে না, তবে নজর রাখতে চাইছে গাড়ি শিল্প

গাড়ি এবং তার যন্ত্রাংশে ২৫% আমদানি শুল্ক বসিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার উপরে ভারতের উপরে বসানো হয়েছে ২৬% হারে পাল্টা শুল্কও। এতে ভারতের গাড়ি শিল্পে সে রকম প্রভাব পড়বে না বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের। তবে গাড়ি সংস্থাগুলির সংগঠন সিয়ামের মতে, পরিস্থিতিতে নজর রাখতে হবে।

সিয়ামের ডিজি রাজেশ মেননের বক্তব্য, ভারতের সংস্থাগুলি খুবই সীমিত সংখ‍্যায় গাড়ি আমেরিকায় রফতানি করে। ফলে শুল্কের প্রভাব পড়লেও তা হবে খুবই কম। ক’দিন গেলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে। তা ছাড়া ট্রাম্প ২৬ মার্চ গাড়ি ও ইস্পাতে শুল্ক ঘোষণা করেছিলেন। ফলে বুধবার ঘোষণা করা পাল্টা ২৬% শুল্ক গাড়ি শিল্পে কার্যকর হবে না। যদিও কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিচার করা হচ্ছে। এখনই কিছু বলার জায়গা তৈরি হয়নি।

সিয়ামের তথ্য বলছে, টাটা মোটরস আমেরিকায় সবচেয়ে বেশি গাড়ি বেচে। গত অর্থবর্ষে সে দেশে তাদের ল্যান্ড রোভার ব্র্যান্ডই বিক্রি হয়েছে প্রায় ৪ লক্ষ। শনিবার জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার জানিয়েছে, শুল্কের জেরে ব্রিটেন থেকে আমেরিকায় গাড়ি রফতানি স্থগিত রাখছে তারা।

গাড়ির যন্ত্রাংশ সংস্থাগুলির সংগঠন অ‍্যাকমার সভাপতি শ্রদ্ধা সুরি মারওয়া বরং আশাবাদী। তাঁর মতে, চিন ও তাইওয়ানের উপরে ভারতের চেয়ে বেশি শুল্ক বসায় রফতানির বাজারে দেশীয় সংস্থাগুলির সুযোগ আরও বাড়বে বলে ধারণা। কেন্দ্রও দেশীয় শিল্পকে রক্ষা করতে ইতিবাচক পদক্ষেপ করবে বলে আশা। একই সুর গাড়ি বিক্রেতাদের সংগঠন ফাডার সিইও সহর্ষ দামানি গলাতেও। তিনি জানান, চিন-সহ অন‍্যান্য দেশের উপর শুল্ক অনেকটা বেশি হওয়ায় ভারতীয় সংস্থাগুলি বিশ্ব বাজার ধরার সুযোগ পাবে। তারা দেশের বাজারে আরও বেশি নজর দিলে বরং ভাল হবে।

বাণিজ্য উপদেষ্টা জিটিআরআই-এর প্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তবের বক্তব্য, ২০২৪ সালে ভারত থেকে আমেরিকায় ৯০ লক্ষ ডলারের যাত্রী গাড়ি গিয়েছে। যা মোট গাড়ি রফতানির মাত্র ০.১৩%। ট্রাকের ক্ষেত্রে তা ০.৯%। তাঁর মতে, ট্রাম্পের শুল্কের প্রভাব বরং গাড়ির চেসিস ও ইঞ্জিনের রফতানিতে পড়তে পারে। মোট রফতানিতে যার অংশ প্রায় ১১.৫% (প্রায় ২.৮২ কোটি ডলার)। অন্যান্য যন্ত্রাংশের সেখানে প্রায় ২২ লক্ষ। তবে সামগ্রিক ভাবে যন্ত্রাংশ রফতানিতে মেক্সিকো বা চিনের ধারেকাছে নেই ভারত। ফলে বিশাল প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা কম।