E-Paper

আরও কমল পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি, ক্রমশ চওড়া হচ্ছে সুদ কমানোর রাস্তা

মঙ্গলবার সরকারি পরিসংখ্যানে দাবি, সেপ্টেম্বরে মূলত খাদ্যপণ্য, জ্বালানি এবং কারখানায় তৈরি কিছু সামগ্রীর পাইকারি দর কমায় সার্বিক মূল্যবৃদ্ধির হার নেমেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৫ ০৯:০৯

—প্রতীকী চিত্র।

খুচরো মূল্যবৃদ্ধির পরে এ বার নামল পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হারও। গত মাসে তা দাঁড়াল ০.১৩%। বিশেষজ্ঞদের মতে, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক সুদ কমানোর জন্য খুচরো বাজারের দামে চোখ রাখে বটে। তবে খুচরো এবং পাইকারি, দুই বাজারেই মূল্যবৃদ্ধি মাথা নামানোয় সুদের হার কমানোর রাস্তা চওড়া হল।

মঙ্গলবার সরকারি পরিসংখ্যানে দাবি, সেপ্টেম্বরে মূলত খাদ্যপণ্য, জ্বালানি এবং কারখানায় তৈরি কিছু সামগ্রীর পাইকারি দর কমায় সার্বিক মূল্যবৃদ্ধির হার নেমেছে। অগস্টে তা ছিল ০.৫২% আর গত বছরের সেপ্টেম্বরে ১.৯১%। এ বার খাদ্যপণ্যের পাইকারি দাম কমেছে ৫.২২%। অগস্টে কমেছিল ৩.০৬%। শুধু আনাজই কমেছে ২৪.৪১%। এর আগে খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার ১.৫৪ শতাংশে নেমে আট বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হয়েছে। তবে গত মাসে কিছুটা বেড়েছে কারখানায় তৈরি মোড়কবন্দি খাবার, অন্যান্য কারখানার উৎপাদন, খাবার নয় এমন সামগ্রী, বস্ত্র ইত্যাদির পাইকারি দর।

বার্কলেস ইন্ডিয়ার মুখ্য অর্থনীতিবিদ আস্থা গুরওয়ানি বলেন, ‘‘বিশ্ব জুড়ে সাধারণ ভাবে পণ্যের দাম কমছে। তাই আগামী দিনে ভারতেও মূল্যবৃদ্ধির হার কমই থাকবে।’’ পটনা আইআইটির অর্থনীতির অধ্যাপক রাজেন্দ্র পরামানিক মনে করেন, খুচরো বা পাইকারি, সব বাজারেই মূল্যবৃদ্ধির বর্তমান ছবির প্রেক্ষিতে ঋণে সুদের হার আরও কিছুটা কমবে বলে আশা।

যদিও মূল্যায়ন সংস্থা ইন্ডিয়া রেটিংস অ্যান্ড রিসার্চের কর্তা পরস জাসরাই বলছেন, ‘‘খাবার ও জ্বালানি বাদে অন্যান্য পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার (কোর ইনফ্লেশন) ৩১ মাসের সর্বোচ্চ হয়ে সেপ্টেম্বরে দাঁড়িয়েছে ১.৯%। সোনার দাম এর অন্যতম কারণ।’’ বিশেষজ্ঞদের মতে, কোর ইনফ্লেশনের ভিত্তিতেই দীর্ঘমেয়াদের মূল্যবৃদ্ধি বোঝা যায়। তাই তা গুরুত্বপূর্ণ।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

RBI Economy

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy