Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

চাঙ্গা করার পথ খুঁজতে আবাসনের সঙ্গে কথা নির্মলার

চাহিদায় ভাটার জেরে এখন ত্রাহি ত্রাহি রব আবাসন শিল্পেও। এ দিন নির্মাতাদের দুই সংগঠন ক্রেডাই ও নারেডকোর প্রতিনিধিরা অর্থমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেন তাঁদের সমস্যাগুলির কথা।

আলোচনা: আবাসন শিল্পের সঙ্গে অর্থমন্ত্রী। রবিবার। ছবি: পিটিআই

আলোচনা: আবাসন শিল্পের সঙ্গে অর্থমন্ত্রী। রবিবার। ছবি: পিটিআই

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৯ ০২:০১
Share: Save:

অর্থনীতির বেহাল দশা তুলে ধরে ইতিমধ্যেই তাদের বিরুদ্ধে নীতিপঙ্গুত্বের অভিযোগ এনেছেন বিরোধীরা। কেন্দ্র এ নিয়ে মুখে কুলুপ আঁটলেও, পরিস্থিতি আঁচ করে অর্থনীতির হাল ফেরাতে যে মরিয়া চেষ্টা জারি তা স্পষ্ট বিভিন্ন শিল্পের সঙ্গে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের একের পর এক বৈঠক থেকে। সেই চেষ্টা বহাল রেখে রবিবার সকালে তিনি নর্থ ব্লকে দু’দফায় আলোচনা চালালেন আবাসন শিল্প নিয়ে। প্রথমে শুনলেন আবাসন নির্মাতাদের সমস্যা। পরে ফ্ল্যাট-বাড়ির ক্রেতাদের। পরে অর্থ মন্ত্রকই বৈঠক দু’টির কথা জানাল টুইট করে। কেন্দ্রের আশ্বাস, শীঘ্রই শিল্প ও ক্রেতার সমস্যা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্র।

চাহিদায় ভাটার জেরে এখন ত্রাহি ত্রাহি রব আবাসন শিল্পেও। এ দিন নির্মাতাদের দুই সংগঠন ক্রেডাই ও নারেডকোর প্রতিনিধিরা অর্থমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেন তাঁদের সমস্যাগুলির কথা। বৈঠকে ছিলেন আবাসন প্রতিমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী ও অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। পেশ করেছেন দাবিও। অসম্পূর্ণ ফ্ল্যাটে বহু ক্রেতার পুঁজি আটকে থাকার সমস্যা জানিয়ে বিশেষ তহবিল দাবি করেছে ক্রেতাদের সংগঠন।

পুরীর আশ্বাস, কিছু সমস্যার সমাধানের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সূত্রের দাবি, থমকে যাওয়া প্রকল্পগুলির জন্য বিশেষ তহবিল (স্ট্রেস ফান্ড) তৈরি ও পুঁজি আটকে থাকা ক্রেতাকে আর্থিক সুবিধা দেওয়া নিয়ে আলোচনার জন্য শীঘ্রই হবে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। সূত্র বলছে, অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার পথ খতিয়ে দেখতেই এখন ব্যস্ত সরকার।

শিল্পের উদ্বেগ

• নগদের অভাবে অস্থির আবাসন ক্ষেত্র।

• ধারে রাশ টেনেছে ব্যাঙ্ক ও এনবিএফসি।

• বহু প্রকল্প থমকে টাকার অভাবে।

• চাহিদায় ভাটার দরুন ফিকে বিক্রিবাটা।

• উৎসবের মরসুমে সঙ্কট বাড়ার আশঙ্কা।

সমস্যায় ক্রেতাও

• পুঁজি আটকে ৫ লক্ষ ক্রেতার।

• অনেকে দ্বারস্থ আদালতের।

উঠল দাবি

• এনবিএফসি (ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠান) ও ব্যাঙ্ককে ঋণ দিতে আগ্রহী করা হোক।

• কমুক গৃহঋণের সুদ।

• ফেরানো হোক জাতীয় আবাসন পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি। তাতে সুদে ভর্তুকি প্রকল্পের (এই সাবভেনশন স্কিমে নির্মাতারা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ক্রেতার সুদ মেটায়) আওতায় নির্মীয়মাণ প্রকল্পে ঋণ দিতে নিষেধ করা হয়েছে গৃহঋণ সংস্থাকে।

• আবাসন নিয়ন্ত্রণ আইনে সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক হোক ক্রেতার অভিযোগ প্রতিকারের প্রথম জায়গা।

• ঝুলে থাকা প্রকল্প শেষ করতে তৈরি হোক ১০ হাজার কোটির স্ট্রেস ফান্ড।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Real Estate Econmoy Nirmala Sitharaman
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE