রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে মস্কোর অশোধিত তেল কেনা বাড়িয়েছে ভারত। তার ফলে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি ক্রমাগত চওড়া হয়েছে। এর পরে রুশ তেল কেনার জন্য দিল্লির উপরে আমেরিকা শাস্তি-শুল্ক চাপানোয় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এ বার কি রাশিয়া থেকে তেল কেনা কমানোর সময় এসেছে? এই তেল কেনার ফলে সামগ্রিক বাণিজ্যে আদৌ কতটা লাভ হচ্ছে? ঠিক এমন সময়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আশ্বাস, এই বিপুল ফারাক কমাতে চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন তাঁরা। প্রশাসনকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, কোন কোন ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক আদান-প্রদান বাড়ানো যায়, তা খতিয়ে দেখতে। কৃষি এবং ওষুধ ক্ষেত্রে আমদানি বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
২০২৩ সালের আগে রাশিয়া থেকে বিশেষ তেল কিনত না ভারত। কিনত মূলত প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম। তবে কম দামের সুযোগ নিয়ে গত দু’বছর ধরে তেলও কেনা বাড়িয়েছে দিল্লি। ফলে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে। এরই মধ্যে ডিসেম্বরে ভারত সফরে আসছেন পুতিন। বাণিজ্য মহলের আশা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে কথা হবে তাঁর। শুক্রবার মোদীর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে ভারতের উপরে আমেরিকার শুল্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ভারত অপমান সহ্য করবে না। আমি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিনি। তিনিও অন্য রকম কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। আমেরিকার শুল্কের জন্য যে ক্ষতি হচ্ছে, তেল দিয়ে তা পূরণ হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে সর্বভৌম জাতি হিসেবেও ভারতের সম্মান বাড়বে।’’
একই সঙ্গে পুতিন জানান, ভারতের সঙ্গে তাঁদের বাণিজ্যের অঙ্ক ৬৩০০ কোটি ডলার। আর বেলারুসের সঙ্গে ৫০০০ কোটি। অথচ ভারতের জনসংখ্যা ১৪০ কোটি, আর বেলারুসের ১ কোটি। ফলে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)