প্রতীকী ছবি।
বেসরকারি ল্যাব নমুনা পরীক্ষা করে জানিয়েছিল, ৬১ বছরের প্রৌঢ়া করোনা পজ়িটিভ। কিন্তু বিশ্বাস করতে পারেননি কনভেন্ট রোডের বাসিন্দা সেই মহিলা। সন্দেহের নিরসনে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হাজির হন তিনি। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তির কথা শুনে চুপচাপ পালিয়ে যান তিনি। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরেও কোভিড আক্রান্ত সেই প্রৌঢ়ার খোঁজ মেলেনি বলেই খবর!
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ এনআরএসের ফিভার ক্লিনিকে বেসরকারি ল্যাবের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে যান ওই প্রৌঢ়া। সেখানকার চিকিৎসকের হাতে রিপোর্টটি দিয়ে প্রৌঢ়া জানান, বেসরকারি ল্যাব থেকে তাঁর করোনা পরীক্ষা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, ল্যাবের রিপোর্ট পজ়িটিভ হলেও তাঁর যে করোনা হয়েছে তা প্রৌঢ়া মানতে চাননি। কারণ, সে ভাবে তাঁর কোনও উপসর্গই নেই। প্রৌঢ়ার বক্তব্য ছিল, সরকারি ল্যাবে তাঁর পরীক্ষা করতে হবে। তাঁকে এনআরএস হাসপাতালের সুপার করবী বড়ালের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সব শুনে রোগিণীকে এম আর বাঙুরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন কর্তৃপক্ষ।
সেই মতো কোভিড অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করা হয়। পিপিই পরে প্রৌঢ়াকে নিয়ে যাওয়ার জন্য হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরাও প্রস্তুত হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সুপারের ঘরের কাছে যে বেঞ্চে প্রৌঢ়া বসেছিলেন, সেখানে গিয়ে পিপিই পরিহিত স্বাস্থ্যকর্মীরা দেখেন, তিনি নেই। হাসপাতাল সূত্রের খবর, এম আর বাঙুরে প্রৌঢ়াকে ভর্তি করানো হবে, এ কথা জেনেই পালান তিনি।
আরও পড়ুন: বালক থেকে বৃদ্ধ, ২৪ ঘণ্টায় সাত অস্বাভাবিক মৃত্যু
একে প্রৌঢ়ার মুখে মাস্ক ছিল না, তার উপরে করোনা পজ়িটিভ। স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্কে তাঁর আশপাশে হাসপাতালের কর্মীরা ছিলেন না। সেই সুযোগেই মহিলা চলে যান বলে দাবি। বুধবার হাসপাতালের এক প্রশাসক-চিকিৎসক জানান, আতঙ্ক থেকেই হাসপাতালে ভর্তি হতে চাননি প্রৌঢ়া।
আরও পড়ুন: কলকাতা পুলিশের তৎপরতায় বাঁচল দু’টি জীবন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy