গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
কলকাতায় বসে মুম্বইয়ে বাসিন্দাদের ফাঁদে ফেলে তাঁদের পকেট কাটত এক দম্পতি। মহিলাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করিয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিলেন তাঁরা। শেষে মুম্বই পুলিশের জালে ধরা পড়লেন মূল অভিযুক্ত।
নিজের স্ত্রীকে দিয়েই ফোন করাতেন জয়দীপ দাস ওরফে দীপক নামে গরফার বাসিন্দা অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি। কোনও গ্রাহক ফাঁদে পড়লেই আগে তাঁদের ‘প্রোফাইল’ জেনে নিতেন তাঁরা। এর পর নানারকম প্যাকেজও দিতেন বন্ধুত্বের জন্য। এক দিনের বন্ধুত্ব করতে হলে ১৫ হাজার টাকা। বেশি দিনের জন্যে বন্ধুত্ব হলে ছাড়ও দিতেন ওই দম্পতি। প্রয়োজনে হোয়াটসঅ্যাপে ছবিও পাঠাতেন। যাঁরা কথার মারপ্যাঁচের ফাঁদে পড়ে টাকা দিতেন, তাঁদের মোবাইল নম্বর ব্লক করে দেওয়া হত। অথবা যে মোবাইল নম্বর থেকে তাঁরা ফোন করতেন, সেই নম্বর বন্ধ করে দেওয়া হত।
আরও পড়ুন: সাতসকালে রিকশা চালিয়ে কোথায় গেলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম
মুম্বইয়ের ইস্ট দাদর এলাকায় এভাবে একের পর এক প্রতারিত হয়েছেন অনেকেই। অভিযোগ জমা পড়ে মুম্বই পুলিশের কাছে। কলকাতায় বসে যে এই প্রতারণার চক্র চলছিল, তা জানতে পারে তারা। কিন্তু কিছুতেই পান্ডাদের খোঁজ পাচ্ছিল না মুম্বই পুলিশ। গত সাতদিন ধরে মুম্বই থেকে এই শহরে এসে ছিলেন তদন্তকারী অফিসাররা। শুক্রবার রাতে অবশেষে জালে পড়েন অভিযুক্ত দীপক। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কত টাকা আত্মসাৎ করেছেন দীপক? তাঁর স্ত্রীর কী ভূমিকা রয়েছে? এ সবই এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মুম্বই পুলিশ সূত্রে খবর, দীপককে আলিপুর আদালতে তুলে ট্রানজিট রিমান্ডে মুম্বইয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তদন্তের প্রয়োজনে। ওই দম্পতির‘ফ্রেন্ডশিপ ক্লাব’-এর সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত রয়েছে তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত ব্যক্তির একটি ‘ডেটিং ওয়েবসাইট’ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy