ফাইল চিত্র।
বৃষ্টি বন্ধ হয়েছে। ইতিমধ্যেই উদ্বোধন সেরে ফেলেছে বড় পুজোগুলি। দমদম-রাজারহাট থেকে শুরু করে মধ্যমগ্রাম-বারাসতে শনিবার বিকেল থেকেই ঢল নেমেছে দর্শনার্থীদের। রাজ্যপাল থেকে মুম্বইয়ের তারকারা প্রত্যেকেই শনিবার জানিয়ে গিয়েছেন, বারাসতের কালীপুজোর কথা তাঁরা শুনেছিলেন, কিন্তু তার ব্যাপকতা যে এমন, তা ভাবতে পারেননি।
এ বারের পুজোয় অবশ্য ‘ভিআইপি গেট’ নেই। তাই বিনা বাধায় মণ্ডপে ঢুকতে পেরে সাধারণ দর্শনার্থীরাও খুশি। আলোয় মোড়া উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সদরকে যেন চেনার উপায় নেই। বারাসত স্টেশনে নামলেই গোটা পায়োনিয়ার এলাকা বদলে গিয়েছে ব্যাঙ্ককে। বিশাল পুকুরপাড়ে মন্দিরের পাশাপাশি মাঠে বসে গিয়েছে মেলা। সেখানে কচিকাঁচাদের ভিড়। স্টেশন সংলগ্ন সংহতি, ইউনাইটেড, রাইজিং স্টারস, ওয়েলফেয়ার, ছাত্রদলেও শুরু হয়েছে ঠাকুর দেখার ভিড়।
৩৪ এবং ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশাপাশি টাকি রোড, ব্যারাকপুর রোডের মতো রাস্তাতেও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিশ। ওই সব রাস্তার দু’পাশ জুড়ে আলোর গেট ও বিশাল মণ্ডপে সেজে উঠেছে রেজিমেন্ট, বিদ্রোহী, শতদল সঙ্ঘ বা সন্ধানীর মতো বড় পুজোগুলি। ডোকরা ও গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের সেজেছে কেএনসি রেজিমেন্ট। নবপল্লির তিন দিকে তিন মন্দির। মায়ানমারের স্বর্ণমন্দির, গুজরাতের সোমনাথ মন্দির এবং ভিয়েতনামের একটি মন্দির।
বারাসত জুড়ে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাস্তায় রয়েছে প্রচুর পুলিশ। প্রশাসন ও স্থানীয় পুরসভার তরফে তৈরি হয়েছে সহায়তা কেন্দ্র। জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী এ দিন বলেন, ‘‘এত বড় উৎসবকে সফল করতে পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে সব রকমের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কোনও অসুবিধা হলেই সহায়তা কেন্দ্রে যোগাযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy