প্রতীকী ছবি
প্রতিবেশীর পরিচারিকা নাবালিকা— থানায় এমনই অভিযোগ জানিয়েছিলেন এক যুবক। গত বৃহস্পতিবার বিধাননগর কমিশনারেটের অধীন নিউ টাউন থানায় এই অভিযোগ জমা পড়ার পরে শনিবার পুলিশ এসে উদ্ধার করে ওই কিশোরীকে। পুলিশ সূত্রের খবর, আপাতত তাকে হোমে রাখা হয়েছে। খবর পাঠানো হয়েছে বাঁকুড়ায় তার বাড়িতে। মেয়েটির মা এলে তাঁর হাতে তাকে তুলে দেওয়া হবে।
গত বৃহস্পতিবার সুমন চৌধুরী নামে পেশায় ইঞ্জিনিয়ার এক যুবক থানায় অভিযোগে জানান, এমনিতেই নাবালিকা পরিচারিকা রাখা আইনত অপরাধ। তার উপরে লকডাউনের বাজারে নিয়মিত ওই কিশোরীকে বাজার করতে, দোকানে যেতে দেখা যাচ্ছিল। বাজারভর্তি ভারী ব্যাগ নিয়ে তাকে একা ফিরতেও দেখা যাচ্ছিল।
সুমনবাবু বলেন, ‘‘পরপর কয়েক দিন এটা দেখার পরে আমি ছবি তুলে বিষয়টি আমার আবাসনের বাসিন্দাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পোস্ট করি। যাঁর বাড়িতে ওই নাবালিকা কাজ করে, সেই সৌমেন্দু সাহা গ্রুপে লিখে জানান, পরিচারিকা তাঁর বোনের মতো। এ ভাবে ওঁর অনুমতি ছাড়া বোনের ছবি তোলার জন্য তিনি আমার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাও নেবেন বলে জানিয়েছেন।’’ আবাসনের তরফ থেকে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় বৃহস্পতিবার থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন সুমন।
তাঁর দাবি, ‘‘এই অবস্থায় বয়স্ক ও বাচ্চাদের আমরা বাইরে বেরোতে বারণ করছি। অত্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া আমরাও বাড়ি থেকে বেরোচ্ছি না। ওই বাড়িতে সৌমেন্দুবাবু, তাঁর স্ত্রী ও বাচ্চা ছেলে থাকে। লকডাউনের সময়ে স্বামী-স্ত্রীকে বাইরে বিশেষ দেখতে পাচ্ছি না। শুধু বিভিন্ন কাজে ওই নাবালিকা পরিচারিকাকে বাইরে পাঠানো হচ্ছিল। দূর থেকে দেখে মনে হয় বয়স বড়জোর ১২ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে হবে।’’
সৌমেন্দুবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘যার সম্পর্কে আপনি জিজ্ঞাসা করছেন, সে আমার বাড়িতে থাকত। আমার বোনের মতো। যিনি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন, প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করাটা তাঁর স্বভাব। এর আগেও করেছেন। আমি যে কোনও ধরনের তদন্তের সম্মুখীন হতে প্রস্তুত। আর আমি মানহানির মামলাও করব।’’ ওই পরিচারিকার নাম ও বয়স জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘‘এ নিয়ে আমি আপনার সঙ্গে কোনও কথা বলব না। আমার আইনজীবী বলবেন।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy