রামপ্রসাদ হালদার। নিজস্ব চিত্র।
স্কুটির চাকায় হাওয়া দিতে অস্বীকার করায় কসবার এক দোকানদারকে হাতুড়ি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেছিলেন কয়েকজন যুবক। গুরুতর আঘাতের কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়। ঘটনার ৯ দিনের মাথায় মৃত্যু হল ওই ব্যবসায়ীর। অভিযুক্ত এক যুবককে গ্রেফতার করা হলেও, তিন জন পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
এ দিকে পরিবারের অভিযোগ, এত দিন অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হলেও, মিটমাট করে নেওয়ার পরামর্শই দিচ্ছিলেন পুলিশ কর্মীরা। মারা যাওয়ার পর পুলিশের তৎপরতা বাড়ছে।
ঠিক কি ঘটেছিল?
গত ১২ জুনের ঘটনা। কসবার বি বি চ্যাটার্জি রোডে রামপ্রসাদ হালদারের দোকানে ওই দিন বেলা তিনটের সময় স্কুটির চাকায় হাওয়া দিতে আসেন অভিযুক্তরা। দোকান বন্ধ করছিলেন রামপ্রসাদ। সেই সময় হাওয়া দিতে অস্বীকার করেন তিনি। এর পরেই শুরু হয় গালিগালাজ। বাধে গোলমালও। বিষয়টি হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছে যায়। রামপ্রসাদের ছেলে আশিস হালদারকেও মারধর করে অভিযুক্তরা।
আরও পড়ুন: পাঠানো হল যুদ্ধবিমান, চূড়ান্ত সতর্কবার্তা বায়ুসেনাকে
ওই সময় দোকানে থাকা হাতুড়ি দিয়ে রামপ্রসাদকে গুরুতর আঘাত করেন ওই যুবকেরা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে রুবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়।
আরও পড়ুন: সীমান্তে শুরু ‘এয়ার ডমিন্যান্স’? সকাল থেকে লাদাখে উড়ছে অ্যাপাশে-চিনুক
অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে, কসবা থানায় অভিযোগ করেন ছেলে আশিস। অভিযোগ, পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখেইনি। উল্টে তাঁরা বিষয়টি মিটিয়ে নিতে বলেন।
এরই মধ্যে ১৬ জুন অপারেশন হয় রামপ্রসাদের। তার পর তাঁকে ছেড়েও দেওয়া হয়। কিন্তু হঠাৎ শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় রামপ্রসাদকে এসএসকেএম হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি মারা যান।
তদন্তে নেমে ঘটনায় মলয় পাত্র নামে বছর সাতাশের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে কসবা থানার পুলিশ। পঞ্চাননতলা রোডের বাসিন্দা ওই যুবকের সঙ্গে আরও তিনজনের খোঁজেও তল্লাশি চলছে। মারধরের ঘটনায় ৩০২ ধারায় খুনের মামলা রুজু করার আবেদনও জানানো হয়েছে আদালতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy