প্রতীকী ছবি।
করোনা পরীক্ষার জন্য লালারসের নমুনা দিয়েছিলেন এক প্রৌঢ়। কিন্তু সেই রিপোর্ট আসার আগেই মৃত্যু হল তাঁর। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে দত্তপুকুর থানার কাশিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সারদাপল্লি বড় দিঘা এলাকায়। মৃতের নাম বিমল সানি (৫৫)। পরিবারের অভিযোগ, বিমলবাবুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্স এসেছে দেরিতে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা স্বাস্থ্য দফতর দাবি করেছে, ওই প্রৌঢ়কে আনার জন্য অ্যাম্বুল্যান্স রওনা দিয়েছিল। কিন্তু তাঁর বাড়ির সামনে রাস্তা খারাপ থাকায় সেটি পৌঁছতে পারেনি।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে জ্বর আসে বিমলবাবুর। ১০ অগস্ট ছোট জাগুলিয়া ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে লালারসের নমুনা দেন তিনি। তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস রায় বলেন, ‘‘আশাকর্মীরা ওই প্রৌঢ়ের দেখভাল করছিলেন। সুস্থই ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।’’
পঞ্চায়েত সূত্রের খবর, রিপোর্ট আসার আগেই এ দিন দুপুরে আচমকাই বিমলবাবুর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। পরিবারের লোকজন ১০২-এ ফোন করে অ্যাম্বুল্যান্স পাঠাতে বলেন। কিন্তু তা আসতে দেরি করায় তাঁরা বিমলবাবুকে নিয়ে হাঁটতে শুরু করেন। পথেই মৃত্যু হয় ওই প্রৌঢ়ের। পঞ্চায়েত প্রধান মহম্মদ ঈশা বলেন, ‘‘করোনা রোগী বা করোনা সন্দেহভাজনদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পঞ্চায়েতের তরফে অটোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওই প্রৌঢ়ের পরিজনেরা গাড়ির জন্য আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। করলে গাড়ির ব্যবস্থা ছিল।’’ কিন্তু লালারসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসতে দেরি হচ্ছে কেন? এ ব্যাপারে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘‘জেলার কয়েকটি এলাকায় লালারসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসতে একটু দেরি হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা সাগর দত্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy