Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
konnagar hiralal paul college

কোন্নগরে আক্রান্ত অধ্যাপককে ফোন মমতার, কলেজে গিয়ে ক্ষমা চাইলেন তৃণমূল নেতা

মুখ্যমন্ত্রীর ফোন করার পরেই এ দিন কোন্নগরের হীরালাল পাল কলেজে যান উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল এবং হুগলি জেলা তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ যাদব।

বুধবার কলেজেই নিগৃহীত সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। ছবি: নিজস্ব সংবাদদাতা

বুধবার কলেজেই নিগৃহীত সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। ছবি: নিজস্ব সংবাদদাতা

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৯ ১৬:৫০
Share: Save:

কোন্নগরে টিএমসিপি সদস্যদের হাতে অধ্যাপক নিগ্রহের ঘটনায় হস্তক্ষেপ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নিগৃহীত অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করেন তিনি। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মমতা। একইসঙ্গে, নিগৃহীত অধ্যাপকের পাশে থাকার কথাও বলেছেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রীর ফোন করার পরেই এ দিন কোন্নগরের হীরালাল পাল কলেজে যান উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল এবং হুগলি জেলা তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ যাদব। সেখানে নিগৃহীত ওই অধ্যাপকের সঙ্গে দেখা করে ক্ষমা চান তাঁরা। পরে ওই কলেজের অধ্যক্ষ জানান, দু’জনেই কথা দিয়েছেন, ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে সচেষ্ট হবেন তাঁরা।

তবে মুখ্যমন্ত্রীর ফোন বা তৃণমূল নেতাদের ক্ষমা চাওয়াতেও ক্ষোভ প্রশমিত হচ্ছে না সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের। তিনি বলছেন, ‘‘আদালতে ধৃতদের জামিন না হলেই বুঝব, মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন তা পালন করছেন।’’ তাঁর কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নিজে আমাকে ফোন করেছিলেন। তিনি বলেছেন, আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি, আমি আপনাদের পাশে আছি।’’ এ দিনও সুব্রতবাবু অভিযোগ তোলেন, ‘‘স্থানীয় এক কাউন্সিলর ঘনঘন কলেজে আসেন। গতকাল যে ঘটনা ঘটেছে তার পিছনে তাঁরই মদত রয়েছে।’’ ওই কাউন্সিলরের নাম কী? জবাবে অবশ্য নিগৃহীত অধ্যাপক বলেন, ‘‘তাঁর নাম প্রকাশ্যে আনতে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি।’’

আরও পড়ুন: বেহালায় খুন বৃদ্ধা, লুঠের উদ্দেশ্যেই খুন, অনুমান পুলিশের​

জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব যদিও ওই কাউন্সিলরকে চিহ্নিত করেছেন। ইতিমধ্যেই কোন্ননগরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ওই কাউন্সিলরকে শোকজ করেছে দল, এমনটাই খবর তৃণমূল সূত্রে। বুধবারের অধ্যাপক নিগ্রহের ঘটনায় বিজয় সরকার এবং সন্দীপ পাল নামে দুই টিএমসিপি সদস্যকে গ্রেফতারও করেছে উত্তরপাড়া থানা। জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের অবশ্য দাবি, ধৃতেরা কলেজে বহিরাগত। বিধায়ক প্রবীর ঘোষালের কথায়, ‘‘বুধবারের ঘটনায় জড়িত ছিল বহিরাগতরা। তারা কারা তা খুঁজে বের করতে হবে। টিএমসিপির কেউ এ ঘটনায় জড়িত থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঘটনার সূত্রপাত বুধবার। ওই দিন প্রকাশ্যে কোন্নগরের হীরালাল পাল কলেজের বাংলার অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে টিএমসিপি-র বিরুদ্ধে। তাঁকে এলোপাথাড়ি ঘুষি মারা হয়। কপালে ও মুখে আঘাত পান তিনি। উত্তরপাড়া থানায় অভিযোগও দায়ের করেন তিনি।

আরও পড়ুন: বাসে জানলার বাইরে যাত্রীর হাত, পিলারে ধাক্কা লেগে কেটে পড়ল কলকাতার রাস্তায়

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE