আলাপ: বিয়ের ফাঁকে বার্তা বিনিময় ইতিকা ও অরিত্রের। শনিবার। ছবি: সুমন বল্লভ
বর ঢুকলেন মাথায় টোপর দিয়ে। প্রবেশপথের দিকে চেয়েই ছিলেন কনে। সকলের কথা তাঁর কানে পৌঁছয় না। তাতে কী? মনের মানুষের আগমনী বার্তা ঠিকই টের পেয়ে গিয়েছিলেন। ঘরে বর পা রাখা মাত্র চোখে চোখেই হয়ে গেল নতুন জীবন শুরুর মুহূর্তের আগের কথোপকথন।
অন্য পাঁচ জন দম্পতির থেকে আলাদা নয় সে চোখের ভাষা। তবে গত এক বছর ধরে একে-অপরের সঙ্গে ইশারাতেই কথা বলে প্রেম গাঢ় হয়েছে মূক ও বধির এই যুগলের।
শনিবার সন্ধ্যায়, রাজারহাটে বসেছিল ইতিকা বিশ্বাস (তিন্নি) আর অরিত্র ঘোষের (রাজার) বিয়ের আসর। কনের বেশে তিন্নিকে ঘিরে চলছিলই হইহই। সানাইয়ের সুর আরও মধুর হল রাজা আসতে। মূক ও বধির এই দম্পতির অবশ্য সে সুরও ছিল মনেই। বরের দেখা পেয়ে বুকের কাছে হাত জোড় করে আনন্দ প্রকাশ করলেন তিন্নি। মুহূর্তটা কত ভাল লাগছে তাঁর, আহ্লাদের সঙ্গে কনে জানালেন বরকে।
তিন্নির বোন অঙ্কিতা বিশ্বাস জানিয়েছেন, কী শাড়ি, গয়না চাই, সব তাঁদের বুঝিয়ে দিয়েছিলেন বোন। এ দিন সে সব দিয়েই ঝলমলে হয়ে উঠেছিল তিন্নির সাজ। রাজার মা শ্যামলী ঘোষও জানিয়েছেন, নিজের পছন্দের বিষয়গুলি স্পষ্ট জানিয়ে দেন ছেলে। বিয়ের কার্ড, মেনু সবেতেই মতামত দিয়েছেন তিনি। ছেলের পছন্দের মেয়েটির সঙ্গেও তাই তাঁদের মতো করে কথা বলে ভাব জমিয়ে নিয়েছেন তিন্নির শাশুড়ি মা।
সন্ধ্যা গড়াল। সাত পাকে বাঁধা পড়ল তিন্নি-রাজা। চারপাশে তখন হইচই। প্রতিবন্ধকতার নিস্তব্ধতাও সঙ্গী রইল সে আনন্দ-মুহূর্তের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy