রাখি-রাজ: পথে নেমেছেন তৃণমূল ও বিজেপি নেতারা। রবিবার মেদিনীপুর শহরে। নিজস্ব চিত্র
সম্প্রীতির রাখিকে উপলক্ষ করে পথে নামল রাজনীতি।
শাসক হোক বা বিরোধী। জনসংযোগের এই সুযোগকে হাতছাড়া করতে নারাজ কোনও পক্ষই। তাই রবিবার, রাখিবন্ধনের দিনটা ব্যস্ততার মধ্যে দিয়েই কাটল সব রাজনৈতিক দলেরই। মাইকে বাজল সম্প্রীতির গান। হল শোভাযাত্রা। পথ চলতি মানুষের হাতে রাখি বেঁধে দিলেন নেতারা। রাখিকে সামনে রেখে চলল কেরলে বন্যা দুর্গতদের জন্য অর্থ সংগ্রহও।
রাখি বিক্রেতারা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি দেওয়া রাখির কাটতি ছিল ভাল। শহর থেকে শহরতলি। মোদী-মমতার ছবি সংবলিত রাখি বিকিয়েছে হু হু করে। জেলার প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডেই রাখি বন্ধনের আয়োজন করেছিল তৃণমূল। এ দিন সকাল থেকেই মেদিনীপুর, শালবনি, কেশপুর প্রভৃতি এলাকায় ছিল সাজ সাজ রব। যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরি বলেন, “এদিন আমরা পথচলতি মানুষকে রাখি পরিয়েছি। সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছি।” ঝাড়গ্রাম পাঁচ মাথার মোড়ে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান সুকুমার হাঁসদাকে দেখা যায় পথচারীদের হাতে রাখি পরিয়ে দিতে। ঘাটাল শহর তৃণমূলের উদ্যোগে একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। রাখিবন্ধনে শামিল হয়েছে বিজেপিও। জেলার বিভিন্ন জায়গায় দলের তরফে রাখি বন্ধন উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। বিজেপির জেলা সম্পাদক অরূপ দাসের কথায়, “এই উত্সব সকলের।”
কেরলে বন্যা দুর্গতদের পাশে থাকতে বাড়ি বাড়ি অর্থ সংগ্রহ শুরু করল সিপিএম এ দিন ঘাটাল শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি যান সিপিএম কর্মী ও সমর্থকেরা। এদিন ঝাড়গ্রাম নাগরিক উদ্যোগের পক্ষ থেকে শহরের শালগাছে রাখি বেঁধে দেন পরিবেশকর্মীরা। গাছে রাখি বেঁধে শাল গাছ রক্ষা করার আবেদন জানান তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy