মাধ্যমিক পাশ করার পর এক জন শিক্ষার্থী পলিটেকনিকে পড়াশোনা করতে পারেন। এটি তিন বছরের ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা কোর্স। পলিটেকনিক পাশের পর নামী সংস্থায় ভাল চাকরি পাওয়ার সুযোগও রয়েছে। শুধু মাধ্যমিকই নয়, উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পরও পলিটেকনিক পড়ার সুযোগ থাকে।
উচ্চ মাধ্যমিকের পর ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিগ্রি স্তরের পড়ার জন্য সুযোগ থাকে। কিন্তু মাধ্যমিকের পর ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা করার সুযোগ থাকে। সেই ডিপ্লোমাই দেওয়া হয় পলিটেকনিকে। বেশি কিছু বিভাগ রয়েছে পলিটেকনিকে। সেগুলি হল সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল, কেমিক্যাল, কম্পিউটার সায়েন্স, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স, অটোমোবাইল।
কী যোগ্যতা প্রয়োজন
পলিটেকনিকের যে কোনও বিভাগে পড়ার জন্য শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক পাশ করতে হবে। দশম শ্রেণি পাশের পর পশ্চিমবঙ্গে পলিটেকনিকে পড়ার জন্য শিক্ষার্থীদের জেক্সপো (জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামিনেশন ফর পলিটেকনিকস) প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হয়। এই পরীক্ষা পাশের পর শিক্ষার্থীদের মেধাতালিকার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন পলিটেকনিকে ভর্তি হতে পারেন।
আরও পড়ুন:
জেক্সপো প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে যা জানা জরুরি:
এটি একটি রাজ্য স্তরের প্রবেশিকা পরীক্ষা। এই পরীক্ষা পশ্চিমবঙ্গ স্টেট কাউন্সিল অফ টেকনিক্যাল এডুকেশন দ্বারা পরিচালিত হয়। পরীক্ষার্থীদের ভারতের নাগরিক হতে হবে। ন্যূনতম ১৫ বছর বয়স হতে হবে। মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়। ৫টি বিষয়কে কেন্দ্র করে প্রশ্নপত্র তৈরি হয়। ৪০ নম্বর থাকে গণিত বিষয়ে, ২০ নম্বর পদার্থ বিজ্ঞানে, ২০ নম্বর রসায়ন বিষয়ে, ১০ নম্বর ইংরেজি এবং ১০ নম্বর থাকে অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট। মোট ১২০ মিনিটের পরীক্ষা হয়। জেক্সপো প্রবেশিকা পরীক্ষা পাশের পর মেধাতালিকার ভিত্তিতে কাউন্সেলিং শুরু হয়। শিক্ষার্থীরা এই পরীক্ষা পাশের পর কাউন্সেলিং-এ রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত পলিটেকনিকে ভর্তি হতে পারেন।
রাজ্যে সরকারি যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানে পড়ানো হয়—
এম.বি.সি. ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি।
কে.জি. ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর পলিটেকনিক
বিপ্রদাস পালচৌধুরী ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি
মালদহ পলিটেকনিক
ড. মেঘনাদ সাহা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি
পলিটেকনিক পাশের পর চাকরির সুযোগ:
পলিটেকনিকে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠান থেকে শংসাপত্র দেওয়া হয়। পাশ করার পর বিভাগ অনুয়ায়ী চাকরির সুযোগ রয়েছে। অর্থাৎ কেউ যদি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পাশ করেন, তা হলে তাঁর কাজের সুযোগ সেই সংক্রান্ত ক্ষেত্রগুলিতেই অনেক বেশি। যদিও পলিটেকনিক নিয়ে পড়ার সময় প্রথম সেমিস্টারে এক জন শিক্ষার্থীকে সব বিষয় নিয়েই পড়তে হয়। প্রথম সেমিস্টার পাশের পর শিক্ষার্থীদের বিভাগ অনুয়ায়ী পড়তে হয়। পলিটেকনিক পাশের পর রাজ্যে সরকারি চাকরির সুযোগও রয়েছে।পঞ্চায়েত সংক্রান্ত ক্ষেত্রগুলিতে সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল নিয়ে পাশ করা শিক্ষার্থীর চাকরির সুযোগ রয়েছে। রেলওয়েতেও জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র, লোকো পাইলট-সহ আরও কাজের সুযোগ রয়েছে পলিটেকনিক পাশ করার পর।