প্রতীকী চিত্র।
নেট পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ঘোষণা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের। সম্প্রতি একটি বিবৃতি প্রকাশের মাধ্যমে এই বিষয়ে সবিস্তার জানানো হয়েছে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডিতে ভর্তি হওয়ার জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ শর্ত আরোপ করা হয়েছে।
যে সমস্ত পড়ুয়া ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট (নেট) উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাঁদের ওই প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হবে না। ওই পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেই দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি-তে ভর্তি হতে পারবেন তাঁরা। এর আগে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদা করে প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হত। ইউজিসি-র সিদ্ধান্তের ফলে পিএইচডি-তে ভর্তি হওয়ার জন্য ইউজিসি নেট-এ উত্তীর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক হতে চলেছে।
বছরের দু’বার ইউজিসি নেট দেওয়ার সুযোগ থাকে। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ কিংবা অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরশিপের যোগ্যতা অর্জন করতেন। উল্লিখিত পরীক্ষার স্কোর ব্যবহারের ছাড়পত্র মেলায় নেট উত্তীর্ণরা তিনটি আলাদা বিভাগে তিন ধরনের যোগ্যতা অর্জন করার সুযোগ পাবেন।
প্রথম ক্যাটাগরি অনুযায়ী, নেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ কিংবা অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরশিপের যোগ্যতা অর্জন করবেন। একটি মাত্র ইন্টারভিউ দিয়ে তাঁরা পিএইচডি করার সুযোগ পাবেন। দ্বিতীয় ক্যাটাগরি অনুযায়ী, জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ ছাড়াও অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরশিপ এবং পিএইচডিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন। তৃতীয় ক্যাটাগরি অনুযায়ী, পিএইচডিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেলেও জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ কিংবা অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরশিপের যোগ্য হবেন না।
এই বিষয়ে ইউজিসির সচিব মণীশ জোশি জানিয়েছেন, ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট (নেট) পদ্ধতির পুর্নমূল্যায়নের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটির সুপারিশেই ১৩ মার্চ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে পিএইচডি-তে ভর্তি হওয়ার জন্য নেট-এ প্রাপ্ত স্কোর ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন পড়ুয়ারা। তবে উল্লিখিত দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ক্যাটাগরির পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র এক বছরের জন্য নেট-এর স্কোর বৈধ থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy