প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নয়া খসড়া বিধি প্রকাশ করল সরকার। যেখানে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এই প্রস্তাবিত নয়া খসড়া বিধিতে গুরুত্ব বাড়ল টেটের।
টেটের জন্য বরাদ্দ নম্বর এক লাফে ২০ নম্বর বৃদ্ধি করা হল। পুরনো খসড়া বিধিতে টেটের বরাদ্দ নম্বর ছিল ৫। আর এই প্রস্তাবিত খসড়া বিধিতে করা হয়েছে ২৫। টেটের বরাদ্দ নম্বর বৃদ্ধি পেলেও (ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন (ডিএলএড)- এর নম্বর কমে হয়েছে ৫। যা আগে ছিল ১৫।
এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল বলেন, ‘‘একটি খসড়া বিধি প্রকাশ করা হয়েছে। তবে এটি চূড়ান্ত নয়। এটি মতামত নেওয়ার জন্য দেওয়া হয়েছে। এর আগে যে বিধি প্রকাশ করা হয়েছিল সেই অনুযায়ী বর্তমান নিয়োগ হবে। ১৫ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে মতামত নেওয়ার জন্য।’’
আরও পড়ুন:
এই নয়া খসড়া বিধিতে আরও বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক পাশের জন্য নির্ধারিত নম্বর করা হয়েছে ৫। যা আগে ছিল ১০। এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটির জন্য যে ৫ নম্বর পুরনো ব্যবস্থায় ছিল, তা এই খসড়া বিধিতে রাখা হয়নি।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দেওয়া এই খসড়া বিধি সামনে আসার পরই বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল। সম্প্রতি ১৩৪২১ শূন্য পদে নিয়োগ শুরু হওয়ার কথা সেই সমস্ত প্রার্থীদের। ২০২২ এর টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থী মোহিত কারাতি বলেন, ‘‘নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার পর কোনও বিধি পরিবর্তন করা যায় না। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেছে। তাই এই খবর সামনে আসার পরে আমরা নিয়োগ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছিলাম।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ স্পষ্ট জানিয়েছে, সম্প্রতি ১৩,৪২১ শূন্য পদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে, সেখানে এই নিয়োগ বিধি কার্যকর হবে না। এ প্রসঙ্গে শিক্ষক সংগঠনগুলির বক্তব্য, নিয়োগ বিধির যা-ই পরিবর্তন হোক না কেন, সরকারের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে সেই সঙ্গে দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে এ সব পরিবর্তন করে কিছু লাভ হবে না।