শুরু হতে চলেছে শীতের মরসুম। আর শীতের দিনে সবথেকে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে কুয়াশার কারণে। এই সমস্যা শুধু ভারতবর্ষে নয় বিদেশেও। এ বার দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় মানুষকে বাঁচাতে কৃত্রিম মেধার ব্যবহারে যাদবপুর বিদ্যাপীঠের পড়ুয়ারা ‘ফগসাইট’ নামে একটি যন্ত্র আবিষ্কার করে আন্তর্জাতিকস্তরের প্রতিযোগিতায় পঞ্চম স্থান অধিকার করল।
বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে ‘মেড টু মুভ কমিউনিটিজ’(এমটিএমসি) প্রতিযোগিতায় দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিল একাদশ শ্রেণির আট পড়ুয়া। এই প্রতিযোগিতায় এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ফাইনালে মালয়েশিয়া, হংকং, তাইল্যান্ড, তাইওয়ান, চিন, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার স্কুলগুলির পড়য়াদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পঞ্চম স্থান অধিকার করে। তাতে পুরস্কারপ্রাপ্তি হয়েছে নগদ ৭৫০০ ডলার ( ভারতীয় মুদ্রায় ৬ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা)।
আরও পড়ুন:
শীতকালে কুয়াশার কারণে রাস্তাঘাট বা হাইওয়েতে দৃশ্যমান্যতা অনেকটাই কমে যায়। এর ফলে যে গাড়ি চলে তাঁরা সামনের গাড়ি গুলিকে অনেক সময় দেখতে পায় না। ওভার স্পিড এর কারণে প্রত্যেক বছর দেশ-বিদেশে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বহু মানুষ। আর সেখানে এই যন্ত্রটি নজর কারে উদ্যোক্তাদের।
বিদ্যালয়ের আট জন পড়ুয়া স্বপ্ননীল নাথ, সাগ্নিক ভাস্কর, কঙ্ক ঘোষ, শেখ মিরাজউল্লা, সৃজন শীল, সুপ্রভাত বেরা, সৃজন্যা পাহাড়ী এবং সিদ্ধার্থ দাস এই প্রতিযোগিতার প্রথম রাউন্ডে প্রথম স্থান অধিকার করে। কঠিন লড়াই হলেও ভাবনাচিন্তা ও নকশার জন্য ৫০ মধ্যে ৩০.৮ পয়েন্ট পায় তারা।
আরও পড়ুন:
যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য বলেন, ‘‘ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্ভাবনী শক্তি, পরিশ্রম ও মেধা দেশের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তাদের জয় লাভ করতে সাহায্য করেছে।’’
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ছাত্ররা জানান, এটি কৃত্রিম মেধা সাহায্যে দৃশ্যমান্যতা বৃদ্ধির একটি যন্ত্র। কুয়াশাযুক্ত জায়গায় গাড়ি চালানোর সময় দৃশ্যমান্যতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। এর মাল্টিস্পেক্টর সেন্সিং এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে আশপাশের এলাকা বিশ্লেষণ করতে পারবে। এ ছাড়াও গাড়ির ড্যাশবোর্ড ডিসপ্লেতে সামনের রাস্তা স্পষ্ট ছবিও দেখতে পাওয়া পাওয়া যাবে। যে কোনও ধরনের গাড়িতে এই প্রযুক্তির ব্যবহার করা যাবে। এই যন্ত্র লাগানোর খরচ অত্যন্ত কম।