সুরেন্দ্রনাথ কলেজে মার্শাল আর্টের প্রদর্শনশালা। নিজস্ব চিত্র।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত সুরেন্দ্রনাথ কলেজে এবার ‘আত্মরক্ষা’র জন্য থাইল্যান্ডের জাতীয় খেলার প্রশিক্ষণের সুযোগ করে দিচ্ছে। কলেজের এনএসএস এর উদ্যোগে ইতিমধ্যেই আয়োজন করা হয়েছিল এর ওপর একটি প্রশিক্ষণ এবং কর্মশালা, যার নামকরণ করা হয়েছে ‘প্রজেক্ট সৌর্য’।
থাইল্যান্ডের জাতীয় খেলা হল মৈথাই চলতি ভাষায় যা ‘থাই বক্সিং’ নামে পরিচিত। জাতীয় খেলা হলেও এটি মূলত আত্মরক্ষার মার্শাল আর্টস হিসেবে পরিচিত। ইতিমধ্যেই থাইল্যান্ডের এই আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ ‘থাই বক্সিং’ সারা ফেলেছে বাংলাদেশ, মায়ানমার ও ভুটানে।
ইন্ডিয়ার ওয়ার্ল্ড মার্শাল আর্ট কমিটির জাতীয় পরিচালক কৌস্তুভ সরকার বলেন, “আমরা চাই খালি ক্যারাটে নয় তার পাশাপাশি, বাংলার পড়ুয়াদের আত্মরক্ষার জন্য মার্শাল আর্টের উপর আগ্রহ বৃদ্ধি করতে। এবং এই ধরনের জাতীয় খেলার সঙ্গে ভারতের পড়ুয়ারাও যাতে যুক্ত হন।”
মৈথাই হল বক্সিং, ক্যারাটে , তাইকোন্ডো এবং মিক্স মার্শাল আর্টসের সংমিশ্রণ। মৈথাই-এর শিকর ভারতের মার্শাল আর্টসের সঙ্গে যুক্ত। দক্ষিণ ভারতের ইন্ডিয়ান মার্শাল আর্ট ক্যারাটে ‘কালারই পায়াট্টু’ বিশ্বের সব থেকে পুরনো মার্শাল আর্টস।
এই প্রশিক্ষণ বা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছিল সুরেন্দ্রনাথ কলেজ-সহ আরও তিনটি কলেজ, সেগুলি হল উমেশচন্দ্র কলেজ, বঙ্গবাসী মর্নিং কলেজ এবং রামমোহন কলেজ। সুরেন্দ্রনাথ কলেজের আগে কলকাতায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘থাই বক্সিং’ নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল, যেখানে ৩৭৫- জন পড়ুয়া অংশগ্রহণ করেছিলেন।
এই মার্শাল আর্টে আগ্রহী পড়ুয়ারা এক বছরের সার্টিফিকেট কোর্স করার সুযোগ পাবেন। এই সার্টিফিকেটটিপ্রদান করবে ইন্ডিয়া ওয়ার্ল্ড মার্শাল আর্ট কমিটি। এ ছাড়াও পড়াশোনার সঙ্গে যদি কোন পড়ুয়া এই খেলার সঙ্গে যুক্ত হতে চান তাহলে কলকাতায় থেকেই রেগুলার কোর্সের মাধ্যমে ট্রেনিং সম্পূর্ণ করতে পারবেন। এ বছর পুজোর পর থেকে ২৫ জন পড়ুয়াকে নিয়ে এই সার্টিফিকেট কোর্স চালু করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy