এ বারের মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৭০ দিনের মধ্যে প্রকাশিত হল ফলাফল। শুক্রবার সকাল ৯টায় ফলাফল প্রকাশ করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ফল ঘোষণার বেশ কিছুটা সময় পর দুপুর নাগাদ একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পরীক্ষার্থীরা কী ভাবে মাধ্যমিকের নম্বর যাচাই (স্ক্রুটিনি) এবং কী ভাবে খাতা পুনর্মূল্যায়ন (রিভিউ)-এর জন্য আবেদন করতে পারবে, বিজ্ঞপ্তিতে সে সংক্রান্ত সমস্ত নিয়মাবলি বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে।
মাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতকার্যেরা রিভিউ এবং স্ক্রুটিনি— উভয়ের জন্যই আবেদন করতে পারলেও অকৃতকার্যেরা শুধুমাত্র রিভিউয়ের জন্য আবেদন করতে পারবে। সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের মাধ্যমেই অনলাইনে আবেদন করতে হবে। কোন ওয়েবসাইটে গিয়ে এই আবেদন করতে হবে, তা-ও বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দিয়েছে পর্ষদ। ২ মে বিকেল ৪টে থেকে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করা যাবে। ওয়েবসাইটটি আগামী ১৮ মে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সক্রিয় থাকবে। তার মধ্যেই আবেদন জানাতে হবে পড়ুয়াদের।
আরও পড়ুন:
-
মাধ্যমিকে প্রথম দশে কারা? পাশের হারে শীর্ষে কোন জেলা, প্রথম দশে কত জন পরীক্ষার্থী? রইল সম্পূর্ণ মেধাতালিকা
-
রুটিন করে পড়াশোনাতেই সাফল্য, তৃতীয় ঈশানীর আক্ষেপ, ‘লেখাপড়ার চাপে এক বছর ছবি আঁকার সময় পাইনি’
-
পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে পড়াশোনা, ফুটপাথবাসী সোনিয়া-প্রিয়াঙ্কা পাশ করল জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায়
-
চাকরিহারা শিক্ষকদের পাশে মাধ্যমিকে দশম স্থান পাওয়া রাহুল, ফেরাতে চায় দেশের অর্থনৈতিক হাল
অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীরা খাতা পুনর্মূল্যায়ন করাতে চাইলে প্রতি বিষয়ের জন্য ১০০ টাকা জমা দিতে হবে। কৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের নম্বর যাচাইয়ের জন্য বিষয় প্রতি ৮০ টাকা জমা দিতে হবে। মাধ্যমিকের মার্কশিটের প্রতিলিপি এবং নাম, রোল নম্বর জানিয়ে বিদ্যালয়ের মাধ্যমে আবেদন জানাতে হবে পড়ুয়াদের। ব্যক্তিগত ভাবে কেউ আবেদন জানালে তা গ্রাহ্য হবে না বলে জানিয়েছে পর্ষদ। তবে বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, স্কুলগুলি প্রতি পরীক্ষার্থী ভিত্তিতে ২টাকা করে নিতে পারে।

মাধ্যমিকে প্রথম তিন।
চলতি বছর ২ মে, শুক্রবার প্রকাশিত হল ২০২৫-এর মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল। এ বার ৬৯ দিনের মাথায় ফলপ্রকাশ করা হয়েছে। চলতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১০ ফেব্রুয়ারি। শেষ হয় ২২ ফেব্রুয়ারি। পরীক্ষার্থী ছিল ন’লক্ষ ৬৯ হাজার ৪২৫ জন। এর মধ্যে নিয়মিত পরীক্ষার্থী ছিল ন’লক্ষ ১৩ হাজার ৮৮৩ জন। পাশের হার ৮৬.৫৬ শতাংশ। যা গত বছরের তুলনায় বেশি। প্রথম দশে রয়েছে ৬৬ জন পরীক্ষার্থী। মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছে উত্তর দিনাজপুরের আদৃত সরকার। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৬, শতাংশের নিরিখে ৯৯.৪৬ শতাংশ । যুগ্ম দ্বিতীয় অনুপম বিশ্বাস এবং সৌম্য পাল। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৪। তৃতীয় হয়েছে ঈশাণী চক্রবর্তী, তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩। পাশের হারে শীর্ষে পূর্ব মেদিনীপুর (৯৬.৪৬%)। তার পর যথাক্রমে কালিম্পং, কলকাতা এবং পশ্চিম মেদিনীপুর রয়েছে।