Advertisement
E-Paper

কী ভাবে নিজে ভাল থাকা যায়, পড়ানো হবে উচ্চ মাধ্যমিকে

‘সায়েন্স অফ ওয়েলবিয়িং’-এর পাঠ্যক্রমে থাকছে পরিবেশ বিজ্ঞান, ভূগোল, মনোবিদ্যা, জীববিদ্যা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো একাধিক বিষয়।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:১৭

সংগৃহীত চিত্র।

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ এ বছর থেকে চালু করতে চলেছে নতুন একটি বিষয়। যার নাম ‘সায়েন্স অফ ওয়েলবিয়িং।’ এই বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে পারবে উচ্চ মাধ্যমিকের কলা, বাণিজ্য এবং বিজ্ঞান বিভাগের পড়ুয়ারা।

‘সায়েন্স অফ ওয়েলবিয়িং’-এর পাঠ্যক্রমে থাকছে পরিবেশ বিজ্ঞান, ভূগোল, মনোবিদ্যা, জীববিদ্যা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো একাধিক বিষয়।

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সচিব প্রিয়দর্শনী মল্লিক বলেন, “এমন একটি নতুন বিষয় পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে, যা সব পড়ুয়ারা পড়তে পারবে। মনোবিদ্যা থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সব কিছুই থাকছে এই বিশেষ পাঠ্যক্রমে। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এমন ভাবে পাঠ্যক্রম তৈরি করা হয়েছে, যাতে ছাত্র-ছাত্রীদের নম্বর পেতেও সুবিধা হয়।”

এমন একটি বিষয় উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পড়ানোর জন্য প্রয়োজন হল কেন? সে প্রসঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের আধিকারিক জানান, বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় সমস্ত কিছু বিষয়ের প্রতি ধারণা বা জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। যাতে কোন কিছুর ক্ষেত্রেই অসুবিধের সম্মুখীন না হতে হয়। তাই এই ধরনের পাঠ্যক্রমের ভাবনা। এ প্রসঙ্গে যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য বলেন, “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে পড়তে গেলে বিজ্ঞানের ছাত্র হতে হবে। কিন্তু এই পাঠ্যক্রমে এমন ভাবে বিষয়টিকে সাজানো হয়েছে, যে অন্য বিভাগের পড়ুয়ারাও তা পড়তে বা বুঝতে পারবে। তাই এই ধরনের বিষয় পাঠ্যক্রমে যুক্ত করায় পড়ুয়াদের যেমন আগ্রহে বাড়বে পাশাপাশি জ্ঞান অর্জনের মাত্রাও বৃদ্ধি পাবে।”

নতুন বিষয় উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে চালু করলেও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, এই ধরনের বিষয় পড়াবেন কারা। এই প্রসঙ্গে শিক্ষা সংসদের বক্তব্য, “এমন করে পাঠ্যক্রম তৈরি করা হয়েছে স্কুলগুলিতে যাঁরা শিক্ষক রয়েছেন তাঁরাই এই বিষয় পড়াতে পারবেন। প্রত্যেকটি স্কুলে জীববিদ্যা, ভূগোল, পরিবেশ বিজ্ঞানের শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন। এ ছাড়াও শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে স্কুলগুলিকে নিয়ে কর্মশালাও করা হবে। এই নতুন বিষয় নিয়ে তাঁদের কোনও সমস্যা থাকলে তার দ্রুত সমাধান করা হবে।”

অনেকগুলি বিষয় নিয়ে তৈরি এই ধরনের পাঠ্যক্রম কতটা সুবিধা করে দেবে ছাত্র-ছাত্রীদের, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে মানুষের চাহিদারও পরিবর্তন হয়। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন নতুন বিষয় অন্তর্ভূক্তি নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য। কিছু ছাত্র ছাত্রী এই বিষয় নিয়ে পড়তে চাইবে এবং ভবিষ্যতে পেশার সঙ্গে যুক্ত হতে চাইবে। তাই ছাত্র ছাত্রীরা যাতে ভাল করে এগুলি শিখতে পারে কাউন্সিল সেই ব্যাপারটা একটু গ্যারান্টি করলে ভাল হয়।”

WBCHSE new syllabus
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy