সারা দেশে কমছে বেকারত্ব! অন্তত তেমনই দাবি করা হচ্ছে কেন্দ্রের ত্রৈমাসিক রিপোর্টে। সেপ্টেম্বরের রিপোর্ট বলছে, সামান্য হলেও আগের ত্রৈমাসিক থেকে কমেছে বেকারত্বের হার।
দেশে কাজের বাজার সম্পর্কে কেন্দ্রের পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি রূপায়ণ মন্ত্রকের ‘পিরিয়ডিক লেবার ফোর্স সার্ভে’ (পিএলএফএস)-র রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে সম্প্রতি। সেখানেই জানানো হয়েছে, চলতি বছর জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে কর্মসংস্থানের হার সামান্য হলেও বেড়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে গ্রাম ও শহর মিলিয়ে দেশের ১৫ বছর বা তার থেকে বেশি বয়সি মানুষের কাজে যোগদানের হার হয়েছে ৫৫.১ শতাংশ। যা এপ্রিল থেকে জুনের ত্রৈমাসিকে ছিল ৫৫ শতাংশ। ভারতে গ্রামীণ মানুষের কাজে যোগদানের হারই বেশি। সর্বশেষ ত্রৈমাসিকে গ্রামীণ মানুষের কাজে যোগদানের হার যেখানে ৫৭.২ শতাংশ, শহরে তা ৫০.৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন:
কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যোগদানও বাড়ছে। পরিসংখ্যান বলছে গত ত্রৈমাসিকে যেখানে মহিলাদের কাজে যোগদানের হার ছিল ৩৩.৪ শতাংশ, জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে তা হয়েছে ৩৩.৭ শতাংশ। তবে এই বৃদ্ধি গ্রামীণ এলাকায় বেশি। হিসাব বলছে ৩৭ শতাংশ থেকে ৩৭.৫ শতাংশে পৌঁছেছে গ্রামীণ মহিলাদের কাজে যোগদান।
গোটা দেশে কর্মরত নাগরিকের সংখ্যাও সামান্য বেড়েছে বলে জানানো হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট জনসংখ্যার ৫২.২ শতাংশ। যা পূর্ববর্তী ত্রৈমাসিকে ছিল ৫২ শতাংশ। কর্মরত মহিলার সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্বশেষ ত্রৈমাসিকে তা হয়েছে ৩২ শতাংশ। পূর্ববর্তী ত্রৈমাসিকে যা ছিল ৩১.৬ শতাংশ।
স্বাভাবিক ভাবেই এই ফলাফলের প্রভাব পড়েছে বেকারত্বেও। হিসাব বলছে, চলতি বছর এপ্রিল থেকে জুনের ত্রৈমাসিকে সারা দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৫.৪ শতাংশ। সর্বশেষ ত্রৈমাসিকে তা দাঁড়িয়েছে ৫.২ শতাংশ।
তবে এই হিসাব খতিয়ে দেখলে বোঝা যায়, এই কর্ম বৃদ্ধির হার নির্ভর করছে গ্রামীণ অর্থনীতির উপরই। কারণ সেখানে স্বনির্ভর রোজগারের হার ৬০.৭ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৬২.৮ শতাংশ। সাধারণত গ্রামীণ এলাকায় স্বনির্ভর রোজগারেরই প্রাধান্য থাকে। শহরের রোজগার মূলত চাকরিভিত্তিক। যদিও সেখানেও খানিকটা বেড়েছে কর্মসংস্থান। হিসাব বলছে শহরে চাকরিভিত্তিক কাজের হার ৪৯.৪ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৯.৮ শতাংশ।
কিন্তু গ্রামীণ কর্মসংস্থানের একটা বড় অংশই কৃষিনির্ভর। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিক কৃষি মরসুমের অন্তর্গত হওয়ায় কর্মসংস্থানও ৫৩.৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫৭.৭ শতাংশ হয়েছে। তারই প্রতিফলন গোটা দেশের সমীক্ষায় পড়েছে। ৫ লক্ষ ৬৪ হাজার ৮২৮ জনের মধ্যে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। এঁদের মধ্যে ৩ লক্ষ ২২ হাজার ৯৯২ জন গ্রামীণ এবং ২ লক্ষ ৪১ হাজার ৮৩৬ জন শহরাঞ্চলের বাসিন্দা।