উচ্চ মাধ্যমিকের পর রেলের টিকিট চেকার হতে চান! কী ভাবে মিলবে সুযোগ, বয়সের ঊর্ধ্বসীমাই বা কত?

ভারতীয় রেল-এ বেশ কিছু পদে কাজের সুযোগ থাকে। তার মধ্যে অন্যতম টিকিট চেকার। সিটিসি বা কমার্শিয়াল কাম টিকিট ক্লার্ক পদে কাজের সুযোগ থাকে। এই পদে চাকরি পেতে গেলে উত্তীর্ণ হতে হয় বিশেষ পরীক্ষায়।

যোগ্যতা

ন্যূনতম ১৮ বছর বয়স হতে হবে, এবং সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০। এসটি, এসসি, ওবিসি প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সের ছাড় পাওয়া যায়। প্রার্থীদের স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করতে হয় ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর নিয়ে।

কী পদ্ধতিতে টিটিই হওয়া যায়

শূন্যপদের ভিত্তিতে রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ড (আরআরবি) থেকে পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করার পর, সেই সময় প্রার্থীকে নাম রেজিস্টার করতে হয়।

এর পর, যে সমস্ত প্রার্থীর রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সফল ভাবে হয়ে যায়, তাঁদের নির্দিষ্ট তারিখে প্রবেশপত্র-সহ পরীক্ষায় বসতে হয়। সাধারণ জ্ঞান, অ্যাপ্টিটিউড, গণিত, সাধারণ ইংরেজি বিষয়ের উপর সিবিটি ফরম্যাটে প্রশ্নপত্র তৈরি হয়। লিখিত পরীক্ষায় পাশ করার পর মেধাতালিকার ভিত্তিতে শারীরিক পরীক্ষা, নথি যাচাইকরণের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়।

বিশেষ যে দক্ষতা থাকা প্রয়োজন:

১) টিকিট চেকারের যাত্রীদের সঙ্গে ভাল ভাবে যোগাযোগ স্থাপনের দক্ষতা থাকতে হবে।

২) সব ধরনের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া যোগ্যতা থাকতে হবে। ট্রেনে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ভ্রমণ করতে হয় টিটিই-কে। তাই সব ধরনের পরিবেশ এবং আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা থাকা দরকার।

৩) যে কোনও সময় বচসা বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে, সেই সময় ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার দক্ষতা থাকতে হবে।

৪) বিভিন্ন ধরনের শিফ্‌টে কাজ করতে হয়, অনেক সময় ওভারটাইম-ও করতে হয় টিকিট চেকারদের।

টিটিই পদে উন্নতির সুযোগ

টিকিট চেকার বা টিকিট সংগ্রাহক হিসাবে বিভিন্ন ধাপ থাকে এই পেশায়। নীচে এই বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করা হল:

টিকিট চেকার:

প্রথম ধাপ টিকিট চেকার। এ ক্ষেত্রে টিকিট পরীক্ষক যাত্রীদের টিকিট পরীক্ষা করেন এবং বিনা টিকিটের যাত্রীদের জরিমানা করেন।

সিনিয়র টিকিট পরীক্ষক:

সিনিয়র টিকিট সংগ্রাহক হিসাবে মূলত, ট্রেনে সমস্ত যাত্রী সব নিয়ম মেনে ভ্রমণ করছেন কি না, সেই বিষয়গুলি পর্যালোচনা করতে হয়।

ট্রাভেলিং টিকিট ইনস্পেক্টর:

যাত্রীদের খালি আসন বরাদ্দ করেন। রেলের নিয়ম অনুয়ায়ী খালি আসন যাত্রীদের দেওয়ার বিষয়টি ট্রাভেলিং টিকিট ইনস্পেক্টর পর্যালোচনা করে থাকেন।

চিফ টিকিট ইনস্পেক্টর:

টিটিই পেশার মধ্যে এই ধাপ সব থেকে উপরে। যাত্রীদের কোন অভিযোগ থাকলে তা ভাল ভাবে শুনে, সমাধান করে যাত্রীদের যথাযথ সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা করেন প্রধান টিকিট পরীক্ষক।

টিকিট চেকারদের বেতন বার্ষিক প্রায় ২.২ লক্ষ টাকা ধার্য থাকে। সরকারি এই চাকরি পাওয়ার জন্য প্রার্থীদের নিয়মিত পড়াশোনার মধ্যে থাকা ভাল এবং রেলেওয়ের তরফ থেকে কখন শূন্যপদের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হচ্ছে সেই বিষয়ে ওয়াকিবহাল থাকা ভাল। ttps://www.rrbkolkata.gov.in/ এই ওয়েবসাইটে নজর রাখতে হবে। টিকিট চেকার ছাড়াও আরও বেশ কিছু পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় এই ওয়েবসাইটে।