নতুন করে নিয়োগের আবেদনের সংখ্যা বাড়লেও পরীক্ষায় বসতে চান না ‘যোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকারা। সেন্ট্রাল পার্কে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে টানা অনশনের ১৭৭ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিশেষ ভাবে সক্ষম চাকরিহারা শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ দাস-সহ আরও পাঁচজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তবে, তাঁদের দাবি, লড়াই কঠিন হলেও অনশন জারি থাকছে।
১২ জুন বৃহস্পতিবার থেকে লাগাতার অনশনের জেরে অসুস্থ চাকরিহারাদের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৬। একই সঙ্গে অবস্থানের ৪৫ দিনও পেরিয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট ১৯ জন অনশনকারীর মধ্যে তিন জন অবস্থানে রয়েছে, যাঁদের মধ্যে একজন শিক্ষিকাও রয়েছেন। শুক্রবার সকালে নতুন করে আরও একজন অনশন শুরু করেছেন।
চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে অনশনের ১৭৭ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হয়েছে।
‘যোগ্য’ শিক্ষকেরা অনশন মঞ্চ থেকেই আন্দোলন জারি রাখতে চান। আন্দোলনকারী শিক্ষক অমিতরঞ্জন ভুঁইয়া বলেন, “প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির কারণে আমাদের চাকরি চলে গিয়েছে। হকের চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে, এই দাবিতে আমাদের আন্দোলন জারি থাকবে। শুক্রবার থেকে নতুন করে আরও ‘যোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকা অনশনে বসবেন। তাঁদের কোনও ক্ষতি হলে দায় সরকারেরই।”
অনশনের পাশাপাশি, ধাপে ধাপে আদালতের নির্দেশে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের আবেদনের সংখ্যা বাড়ছে। অনশন মঞ্চ থেকে এক কিলোমিটার দূরত্বে স্কুল সার্ভিস কমিশনের অফিসে প্রতিদিন কয়েক হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ওই আবেদনের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৭ হাজারের কাছাকাছি।