Advertisement
১১ মে ২০২৪
Entertainment News

কে ওখানে? ভূতের খোঁজে জমিদারবাড়িতে ডিওএস

সম্প্রতি ডিওএস টিম দিয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার একটি পোড়ো জমিদারবাড়িতে। সাত-আট দশক ধরে সেখানে কারও বসবাস নেই। তবে আশপাশের বাসিন্দাদের দাবি, সন্ধ্যে ৬টার পর থেকেই জমিদারবাড়ির দোতলা থেকে ভেসে আসে কোনও মহিলার কণ্ঠস্বর। যেন যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন!

—নিজস্ব চিত্র।

—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০১৯ ২০:২০
Share: Save:

গা ছমছমে করিডর। কেউ কোথাও নেই। রাতের আবছা আলোয় করিডর ধরে যাওয়ার সময় মনে হল, পাশ দিয়ে কেউ যেন হেঁটে গেল।

স্কুল-কলেজের পুরনো বিল্ডিং, অফিস বা হোটেলে গিয়ে এমন অভিজ্ঞতা কমবেশি অনেকেরই হয়েছে। তবে এমন অভিজ্ঞতার কথাই যদি ক্যামেরাবন্দি করতে চান? তবে খবর দিতে পারেন ডিটেকটিভ অব দ্য সুপারন্যাচারাল (ডিওএস) টিমকে। গ্রামেগঞ্জে, শহরে, অলিগলিতে তাঁরা ছুটে বেড়াচ্ছেন ‘ভূত ধরা’র নেশায়। বরং বলা ভাল, যেখানে ভূত রয়েছে বলে গুজব, সেখানেই হাজির তাঁরা। ‘ভূত ধরা’র যন্ত্রপাতি নিয়ে। আর কোনও কিছু অদ্ভুত দেখলেই তা বন্দি করে ফেলছেন ক্যামেরায়। তবে সে সব ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করেই থেমে থাকেননি তাঁরা। একটি তথ্যচিত্রও তৈরি করে ফেলেছেন। ‘হু’জ দেয়ার?’

সম্প্রতি ডিওএস টিম দিয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার একটি পোড়ো জমিদারবাড়িতে। সাত-আট দশক ধরে সেখানে কারও বসবাস নেই। তবে আশপাশের বাসিন্দাদের দাবি, সন্ধ্যে ৬টার পর থেকেই জমিদারবাড়ির দোতলা থেকে ভেসে আসে কোনও মহিলার কণ্ঠস্বর। যেন যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন! সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পৌঁছে গেল ডিওএস।

আরও পড়ুন: হৃতিক রোশনের ভক্তদের জন্য সুখবর!

ডিওএস দল। —নিজস্ব চিত্র।

মূলত ছয় বাঙালির টিম। দেবরাজ স্যানাল, ঈশিতা দাস, শুভ্রজিৎ সাহা, সুমন মিত্র, অরিন্দম ঘোষাল এবং উজ্জ্বল গুপ্ত। আর ক্যামেরার পিছনে রয়েছেন পরিচালক দেবর্ষি রায়। তবে তাঁদের যন্ত্রপাতির মধ্যে সাধারণ ক্যামেরা ছাড়াও রয়েছে প্যারাবলিক থার্মোমিটার, ইএমএফ ডিটেক্টর বা ইকো ভক্স-এর মতো যন্ত্র। নামগুলো খটোমটো হলেও ভৌতিক নড়াচড়া বা কোনও অদ্ভুত বিষয় বন্দি করায় বেশ কাজের। এমনটাই জানিয়েছে ডিওএস।

আরও পড়ুন: ইন্ডাস্ট্রি সহজ জায়গা নয়, কী ভাবে বোঝালেন ক্যাটরিনা?

মেঝেয় ফুটে উঠেছে কার যেন পায়ের ছাপ! —নিজস্ব চিত্র।

এ সব নিয়েই ডিওএস বানিয়েছে ‘হু’জ দেয়ার? - পার্ট ২’। তথ্যচিত্র তৈরি করতে গিয়ে তাঁরা পৌঁছে গিয়েছিলেন ওই জমিদারবাড়িতে। দোতলায় ক্যামেরা রেখে বসেছিলেন। ডিওএস জানিয়েছে, তার আগে অবশ্য তাঁরা দোতলার মেঝেয় ছড়িয়ে দিয়েছিলেন পাউডার। ঘণ্টাদুয়েক ধরে মেঝের দিকে ক্যামেরা তাক করেই বসেছিলেন তাঁরা। এক সময় দেখা যায়, মেঝেয় ফুটে উঠেছে কার যেন পায়ের ছাপ! বেশ গা ছমছমে, তাই না!

(হলিউড, বলিউড বা টলিউড - টিনসেল টাউনের সমস্ত গসিপ পড়তে চোখ রাখুন আমাদেরবিনোদনবিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Documentary Supernatural
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE