গত কয়েক বছরে মা-মেয়ের সম্পর্কে চিড় ধরেছে। সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর পর থেকে মা চাঁদনি গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে সে ভাবে কোনও সম্পর্ক নেই অভিনেত্রী অহনা দত্তের। তাঁকে সবাই চেনেন অবশ্য মিশকা নামেই। কিছু দিন আগেই সন্তান আসার খবর শুনিয়েছেন তিনি। দুই পোষ্য এবং স্বামী দীপঙ্কর রায়কে নিয়ে সুখের সংসার তাঁর। কিছু দিন আগেই শাশুড়ি মাকে হারিয়েছেন অহনা। দীপঙ্করের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক মা চাঁদনি মেনে না নিলেও শ্বশুরবাড়িতে তাঁর খুব আদর। কিন্তু তা-ও এই সময় মা-স্থানীয় কারও অভাব বোধ করছেন অভিনেত্রী। সাধ খাওয়ানোরও কেউ নেই। এই পরিস্থিতিতেও কি মেয়ের উপর গোসা করে থাকবেন চাঁদনি? আনন্দবাজার ডট কমকে অহনার মা জানিয়েছেন, তাঁর জীবনে মেয়ে অহনার আর কোনও অস্তিত্বই নেই।
আরও পড়ুন:
চাঁদনি বলেন, “শহরে অনেক কিছুই ঘটছে। কত জনের জীবনে কত কী যে ঘটে যাচ্ছে! সব কিছুর হদিস কি আমরা রাখতে পারি? নাচের স্কুল আর বাবা— এই দুই নিয়েই আমার জীবন।” অহনা-দীপঙ্করের সম্পর্ককে প্রথম থেকেই মেনে নিতে পারেননি মা চাঁদনি। মায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে বাড়ি ছাড়েন অহনা। মাঝে অনেকগুলো বছর কেটে গিয়েছে। এখনও কি সেই একই রাগ রয়েছে? চাঁদনির দাবি, “অস্তিত্ব থাকলে তবেই রাগ, অভিমান আসবে। সেটাই যখন নেই…” নিজের মনকে এই জায়গায় নিয়ে যেতে অনেক দিন সময় লেগেছে তাঁর। আগে মেয়ের প্রসঙ্গ উঠলে কখনও রাগ হত। কখনও কান্না পেত। এখন আর কোনও অনুভূতিই আসে না। চাঁদনি বলেন, “এই অনুভূতি এক দিনে আসেনি। অনেক সময় লেগেছে। নিজেকে বুঝিয়েছি। আমি প্রতিশোধে বিশ্বাসী নই। যখনই কেউ ভাল থাকার জন্য ছেড়ে গিয়েছে, তাকে আমি যেতে দিয়েছি।” শুধু যে মেয়ে ছেড়ে গিয়েছে তেমনটা নয়, আগেও কাছের মানুষকে হারিয়েছেন তিনি।
অহনার সন্তানকে তা হলে এক বারের জন্য দেখতেও যাবেন না তিনি? চাঁদনির কথায়, “দেশের চারিদিকে অনেক ঘটনা ঘটছে। কিন্তু সব ঘটনার কথা কি আমরা মাথায় নিই? কারণ, সে আমাদের নিজের কেউ নয়, অনেক বিষয়ই প্রভাবিত করতে পারে না আমাদের। আমার জীবনে যদিও কারও অস্তিত্বই না থাকে তা হলে তার কোনও ঘটনায় প্রভাব পড়বে কেন!” মা-মেয়ের এই মান-অভিমানের পালা কি আদৌ মিটবে? সেই উত্তর পাওয়া খুব কঠিন। তবে তাঁরা দু’জনেই নিজেদের মতো করে জীবন গুছিয়ে নিয়েছেন। আপাতত সন্তানের অপেক্ষায় দিন গুনছেন অহনা।