তাঁদের বন্ধুত্ব দীর্ঘ দিনের। তার পর ধীরে ধীরে প্রেমে পড়েছেন দু’জন দু’জনের। তাঁরা টেলিভিশনের অন্যতম চর্চিত মুখ। এক জন তিয়াশা লেপচা, অন্য জন সোহেল দত্ত। তিয়াশাকে আজও মানুষ মনে রেখেছেন ‘কৃষ্ণকলি’ হিসাবে। এই মুহূর্তে অবশ্য পর্দায় তিনি ‘রোশনাই’। অন্য দিকে শিশুশিল্পী হিসাবে ছোট থেকে পর্দার সামনে সোহেল। সে সব অনেক দিনের কথা। এই মুহূর্তে ‘মিত্তির বাড়ি’ ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে তাঁকে।
২০২৩ সালে সোহেলের সঙ্গে প্রেমের খবরে সিলমোহর দিয়েছিলেন তিয়াশা। কিন্তু মাস কয়েক যেতে না যে ছন্দপতন। মন ভাঙার কথা আকারে-ইঙ্গিতে সমাজমাধ্যমে জানান অভিনেত্রী। যদিও এই প্রেম দিবসে ফের এক হলেন সোহেল-তিয়াশা। কিন্তু প্রেমে এ ভাবে বিরতি নিয়ে ফিরে আসা কি সম্ভব? আনন্দবাজার অনলাইনকে জানালেন অভিনেত্রী।
তিয়াশা অকপটে জানালেন, প্রেম ছিল। তবে মনোমালিন্য এতটাই বেড়ে গিয়েছিল, আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘আসলে আমাদের ভুল বোঝাবুঝি বেড়ে গিয়েছিল এক সময়। তখনই আলাদা হই। কিন্তু আলাদা থাকতে গিয়ে বুঝলাম সোহেলের অভাব অনুভব করছি। কারণ ওর মতো আর কেউ আমার খেয়াল রাখতে পারে না। তবে শুধু আমি না। সোহেলও বুঝতে পেরেছে আমরা কেউ কাউকে ছেড়ে থাকতে পারব না।’’
আরও পড়ুন:
প্রেম ভাঙার ক্ষেত্রেও নিজের ঘাড়েই সব দায় নিয়েছেন তিয়াশা। তাঁর দাবি, এ জন্য দায়ী ছিল তাঁরই একরোখা মনোভাব। সোহেল নাকি বরাবরই সঠিক দিশা দেখানোর চেষ্টা করতেন। নিজের মর্জির মালিক তিয়াশাই সে সব মানতে চাইতেন না। এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘‘বিচ্ছেদের পর বুঝেছি, ওর কথা একবাক্যে মেনে চলব। সোহেল যদি কিছু নিষেধ করে, ওর কথা মেনে নেব। কারণ আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারি না, মানুষ চিনতে ভুল করি, যেটা সোহেল পারে।” তিয়াশা মনে করেন, এমন কিছু মানুষের জন্য তিনি এর আগে সোহেলের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছেন, যাঁরা আদতে তাঁর বন্ধু নয়।
বোঝাই যায়, তিয়াশা জীবন সম্পর্কে গভীর বোধ থেকেই ভালবাসার হাত ধরতে রাজি। প্রেমের মাস ফাল্গুনেই তাঁরা এক হয়েছেন ফের। জানিয়েছেন অনুরাগীদেরও। তবে প্রেমের আবেগে গা ভাসাতে নারাজ সোহেল-তিয়াশা। তাঁরা দু’জনেই বাস্তববাদী। তাই ‘আই লভ ইউ’ বলে প্রেম জাহির করায় বিশ্বাসী নন। যদিও তিয়াশা বলেন, ‘‘ও আমার জীবনে এমন একজন মানুষ যাকে আমার সব কিছু বলতে পারি। না বলতে পারলেই অস্বস্তি হয়। ও কী করছে, কোথায় যাচ্ছে, আমি কী করছি, কোথায় যাচ্ছি— দু’জনেই সবটা জানি।’’ তিয়াশা মনে করেন মনোমালিন্যের পর কাছাকাছি আসাটা খুব দরকার ছিল। যদিও এই মুহূর্তে বিয়ের পরিকল্পনা করতেও চাইছেন না। সেই দায়িত্বটা পরিবারের উপর ছেড়েছেন। নিজেরা আপাতত ভাল থাকতে চান, উপভোগ করতে চান পরস্পরের সঙ্গ।
তবে তিয়াশার একটি বিশেষ সাধ রয়েছে। বিয়ের আগে তিনি সোহেলের সঙ্গে অন্তত একটি ধারাবাহিকে কাজ করতে চান। মজা করে নিজেই বলেছেন, “সোহেল অবশ্য মনে করছে আমার এই সাধ নাকি আসলে ওকে খানিকটা চোখে চোখে রাখার জন্য।”