ধারাবাহিকে ভাস্বর।
চ্যানেলের সঙ্গে প্রযোজনা সংস্থার মনোমালিন্যের জেরেই কি বন্ধ হল ‘জয় বাবা লোকনাথ’? বুধবার ধারাবাহিকের শেষ পর্বের শুটিংয়ের পরে টেলিপাড়ার প্রশ্ন এটাই। এই ধারাবাহিক বন্ধের ফলে কাজ হারালেন বেশ কয়েক জন শিল্পী ও কলাকুশলী।
‘‘বুধবারের কল টাইম নেওয়ার সময়েই শুটিং শেষ হওয়ার খবর পাই,’’ বললেন ধারাবাহিকের ‘শিব’ অর্থাৎ রাজা গোস্বামী। তবে লোকনাথ অর্থাৎ ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কথা বলার অবস্থায় নেই বলে জানালেন তিনি।
কেন বন্ধ হল এই জনপ্রিয় ধারাবাহিক? ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের খবর, ধারাবাহিকের প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে চ্যানেলের মনোমালিন্যের মূলে রয়েছে অন্য একটি ধারাবাহিক। ‘জয় বাবা লোকনাথ’ ও ‘প্রথমা কাদম্বিনী’র প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফ। দ্বন্দ্বের সূচনা এখানেই। শোনা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট চ্যানেলে তিনটি ধারাবাহিক প্রযোজনার সুযোগ পেয়েও জনপ্রিয় প্রতিদ্বন্দ্বী চ্যানেলে কাদম্বিনীকে নিয়ে এসভিএফ ধারাবাহিক শুরু করে। এই বিষয়টি পছন্দ হয়নি ‘লোকনাথ’ সম্প্রচারকারী চ্যানেলের। প্রসঙ্গত, ওই চ্যানেলও কাদম্বিনীকে নিয়ে একটি ধারাবাহিক শুরু করেছে। সেই কারণেই নাকি এই প্রযোজনা সংস্থার তিনটি ধারাবাহিক ‘বাঘবন্দি খেলা’, ‘ত্রিনয়নী’ ও ‘জয় বাবা লোকনাথ’-এর উপরে কোপ পড়েছে বলে গুঞ্জন। আনলক পর্ব শুরু হলেও শুটিং শুরু হয়নি ‘বাঘবন্দি খেলা’র। এক মাসের নোটিসে বন্ধ হয় ‘ত্রিনয়নী’। লকডাউনের পরে ‘লোকনাথ’-এর টাইম স্লট দু’বার পরিবর্তন হওয়ায় ডিসেম্বরের আগেই ধারাবাহিকটি শেষ হওয়ার প্রমাদ গনেছিলেন অনেকেই। কিন্তু তখনও চ্যানেলের কাছে এটি বন্ধ করার মজবুত কারণ ছিল না। ধারাবাহিকের লেখিকা সাহানা দত্ত প্রযোজনা সংস্থা থেকে সরে যাওয়ায় সেই সুযোগ আসে চ্যানেলের হাতে। চিত্রনাট্য পছন্দ হচ্ছে না বলে অভিযোগ আনে সংশ্লিষ্ট চ্যানেল। বন্ধের কারণ হিসেবে প্রযোজনা সংস্থাকে এটাই বলা হয়েছে বলে খবর।
এই প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট চ্যানেলের ক্লাস্টার বিজ়নেস হেড সম্রাট ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে ধারাবাহিকের বন্ধ হওয়া সম্পর্কে এসভিএফ-এর ভাইেস প্রেসিডেন্ট (টেলিভিশন) অরবিন্দ দাশগুপ্ত বললেন, ‘‘প্রায় আড়াই বছর ধরে ধারাবাহিকটি চলছে। গল্পে লোকনাথ মন্দির তৈরি হওয়ার পরে নতুন কিছু দেখানোর নেই। তাই ধারাবাহিকটি শেষ করা হল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy