করিনার শর্তেই নায়ক হন শহিদ?
একরাশ মনখারাপ নিয়ে ঘর ছেড়েছিল ব্যবসায়ী-পুত্র আদিত্য। যে দিকে খুশি চলে যাবে ভেবে উঠে পড়েছিল একটি ট্রেনে। আর সেই ট্রেনেই দেখা পঞ্জাবি তরুণী গীতের সঙ্গে। তার পর নিয়তির খেলা, বিরক্তি কেটে রঙিন মেঘ। মিষ্টি মধুর প্রেমে এক হয়ে গিয়েছিল তারা। ছবির নাম নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না! শাহিদ কপূর এবং করিনা কপূর অভিনীত 'জব উই মেট' দেখে হাসি-কান্নায় ভাসেননি এমন দর্শক নেই বললেই চলে। তবে সেই ছবি তৈরির সঙ্গে এমন অনেক চমকপ্রদ ঘটনা জড়িয়ে আছে, যা শুনলে তাজ্জব হতে হয়!
ছবিতে 'আদিত্য'র ভূমিকায় শহিদ কপূরের জায়গায় অভিনয় করার কথা ছিল কথা ছিল ববি দেওলের। শ্রী অষ্টবিনায়ক স্টুডিয়ো, যাঁরা এই ছবিটির প্রযোজনা করেছিলেন, তাঁদের সঙ্গে শুরু থেকে কথা হয়েছিল ধর্মেন্দ্রপুত্রই নায়ক হবেন। কিন্তু তার পর? অদ্ভুত কাণ্ড!
ববি দেওল একটি সাক্ষাৎকারে জানান, "আমিই প্রযোজকদের বললাম, পরিচালক হিসেবে ইমতিয়াজ আলিকে নিন। আর নায়িকা হোক করিনা।" প্রসঙ্গত এর আগেই 'আজনবি' ছবিতে বেবোর বিপরীতে অভিনয় করে স্বচ্ছন্দ বোধ করেছিলেন ববি। তাই এ বারও পর্দা ভাগ করতে চেয়েছিলেন সম্ভবত। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে দেয় নিয়তি।
প্রযোজকরা ববির প্রস্তাব শুনে শুরুতে তেমন উৎসাহিত হননি। বলেন, ইমতিয়াজের সঙ্গে করিনা কি কাজ করতে চাইবেন? তা ছাড়া ইমতিয়াজ ছবিতে হাত দিলে বড্ড বেশি বাজেট বাড়ে। কিন্তু তা-ও কথাবার্তা এগোয়। করিনা একটু দর কষাকষি করে রাজি হয়ে যান। কিন্তু শর্ত দেন যে, ছ’মাস পর শ্যুটিং করতে পারবেন। তাই তাঁর কথা মতো সেই দফায় আটকে যায় 'জব উই মেট'-এর কাজ।
এর পর হঠাৎ একদিন চমকে ওঠেন ববি। 'বরসাত'-এর নায়ক জানান, "দেখি, ছবির শ্যুটিং শুরু হয়ে গেল আমাকে বাদ দিয়েই। করিনা, ইমতিয়াজ— সবাই আমার পরিকল্পনা মতো যে যাঁর ভূমিকায় এলেন। কেবল নায়কের জায়গায় করিনার তৎকালীন প্রেমিক শাহিদ কপূর। আমি বলি, বাহ্ রে বাহ্! এ কেমন হল?''
শুধু তাই নয়, ববি জানান, 'হাইওয়ে' ছবিতেও ইমতিয়াজের সঙ্গে কাজ করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু সে বারও বাদ পড়েছিলেন কোনও এক অজ্ঞাত কারণে। তবে এ নিয়ে পরিচালক ইমতিয়াজ আলির সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়নি অভিনেতার।
হাসতে হাসতে ববি বলেন, "ইমতিয়াজ, তুমি যতক্ষণ না আমায় তোমার ছবিতে নেবে আমি তোমার একটাও কাজ দেখব না। বিশ্বাস করো, আমি যেটায় থাকব, সেটাই তোমার সেরা ছবি হবে।"
তবে ববির আক্ষেপ থাকলেও মোটের উপর বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল 'জব উই মেট'। যদিও শোনা যায়, সেই উথালপাথাল প্রেমের ছবির সেটেই নাকি চার বছরের প্রেমের সম্পর্কে ইতি টেনেছিলেন শাহিদ এবং করিনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy