Advertisement
E-Paper

বকুলের জীবনে এত যাতনা কিসের?

‘সখি যাতনা কাহারে বলে...’, কেন গাইছেন বকুল? খোঁজ নিলেন মৌসুমী বিলকিস‘সখি যাতনা কাহারে বলে...’, কেন গায়ছেন বকুল?

শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৮:৪৬
বকুল কথার একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত।

বকুল কথার একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত।

গানে লিপ দিচ্ছেন বকুল। জিজ্ঞাসা করা হল,আপনার জীবনে এত যাতনা কিসের?

একদমই না, আমার জীবনে কোনও যাতনা নেই। তবে বকুলের জীবনে অনেক যাতনা। বকুল খুব অল্প বয়সী একটা মেয়ে। তার মধ্যে অনেক দায়িত্ব নিয়ে ফেলেছে। এমনিতেও ওর জীবন দুঃখের। কারণ, কিছুদিন আগে বকুল জানতে পেরেছে তার বাবাকে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে। আর সেই খুনের সঙ্গে যুক্ত একজন তাদের পরিবারে ঢুকতে চায়। তো তার দু’টো লক্ষ্য, বাবার খুনিকে বার করা আর খুনের সঙ্গে যুক্ত লোকটাকে পরিবারে ঢুকতে না দেওয়া। এই জন্যই এত যাতনা-টাতনা। অন্য দিকে, বকুল এখনও প্রেম বিষয়টা ভাল বোঝেনি। চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছে তার ননদের প্রেম ধীরে ধীরে ভেঙে যাচ্ছে। বকুলের মনে প্রশ্ন জাগছে, ভালবাসা মানেই কি যাতনা-বেদনা এই সব?

বর বকুলকে ভালবাসে না?

বকুলের সঙ্গে বরের একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আপাতত। জানি না এ রকম কোনও সম্পর্ক বাস্তবে হয় কি না। কিন্তু ওদের দু’জনের শুধুই বন্ধুত্বের সম্পর্ক। বিপদে-আপদে সব সময় দু’জন দু’জনের পাশে থাকবে এ রকম একটা সম্পর্ক। ভালবাসা এখনও তৈরি হয়নি। বকুলের দিক থেকে তো একেবারেই ভালোবাসার জন্ম হয়নি।

হানির সঙ্গে ঊষসির কেমন সম্পর্ক?

শুধু হানির সঙ্গে নয়, আমাদের শুটিং ইউনিটে প্রত্যেকের সঙ্গে প্রত্যেকের খুব ভাল সম্পর্ক। শুধু অভিনেতাদের মধ্যে নয়, ডিরেক্টর, সাউন্ড রেকর্ডিস্ট... কাকে ছেড়ে কার কথা বলবো... প্রত্যেকের সঙ্গে এত ভাল সম্পর্ক যে কাজটা আমরা ভালবেসে করতে পারি।

আরও পড়ুন: অভিনয়ের পাশাপাশি কোন নেশা ধরে রেখেছেন ‘জয়ী’?

ঊষসির জীবনে কি ভালবাসার মানুষ আছে?

আমার জীবন ভালবাসায় ভরপুর। আমি ভালবাসতে জানি, ভাল রাখতে জানি এবং আমি আশেপাশের মানুষদের ভালবেসে চলতে পারি। আমার জীবনে সত্যি বলছি ভালবাসার কোনও ঘাটতি হয়নি। আশা করি ভবিষ্যতেও হবে না। প্রেম ছাড়া কি মানুষের জীবন চলে? প্রেম তো অহরহ হচ্ছে।

মনের মানুষ...

এখনই রবীন্দ্র সঙ্গীতে লিপ মেলাচ্ছিলাম। তো মনের ভেতর কিন্তু রবীন্দ্রনাথও রয়েছেন। মানে ওই ভাবে কাউকে আমি দেখি না।

আরও পড়ুন: ‘অভিমান’-এর ছায়া, তিয়াশা-সুবানের সম্পর্কে ফাটল?

মানে বিশেষ কেউ নেই?

বিশেষ কেউ... (একটু চিন্তা করে) আছে আবার নেইও। বলা যাবে না। এটা একটা অদ্ভুত ধোঁয়াশা। আমিও খুঁজছি, ‘ভালবাসা কারে কয়’ (হেসে গড়িয়ে পড়েন তিনি)।

অনেক দিন তো হল। বকুল হয়ে কেমন লাগছে?

বকুলগিরি করছি প্রায় এক বছর হয়ে গিয়েছে। খুব ভাল লাগছে। খুব ইন্টারেস্টিং একটা চরিত্র। আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল, আমি এর আগে যে সব চরিত্র করেছি বকুল তাদের থেকে একেবারে আলাদা। দিনে দিনে বকুল চরিত্রে অনেক শেডস্‌ পাচ্ছি। তো একজন অভিনেতার দিক থেকে এটা দারুণ ব্যাপার। খুব ইন্টারেস্টিং।

আরও পড়ুন: গায়ক অনির্বাণের ডেবিউ ‘শাহজাহান রিজেন্সি’তে

অভিনয় ছাড়া আর কিছু করার সময় পাচ্ছেন?

আ...ম। না, অভিনয় ছাড়া আর কিছুই হচ্ছে না। আমি ঘুমতে খুব ভালবাসি। খেতে ভালবাসি। বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে খুব ভালবাসি। আর বাকি যা সব আমার লিস্টে আছে, টু ডু লিস্টে, সেগুলো কিছুই করে উঠতে পারছি না।ড্রাইভিং শিখতে পারিনি, সুইমিং শিখতে পারিনি। কখনও এগুলো আমাকে শিখে নিতে হবে। কিন্তু এখন কোনও ইচ্ছে পূরণ করার জন্য সময় দিতে পারছি না।

বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরছেন?

হ্যাঁ। আমি ব্লেসড্‌ যে আমাদের শুটিং ইউনিট খুব সিস্টেমেটিক। তাড়াতাড়ি আমাদের প্যাক আপ হয়। সপ্তাহে একদিন, কোনও কোনও সপ্তাহে দু’দিনও ছুটি পেয়েছি এ রকমও হয়েছে। তো বন্ধুদের সঙ্গে বা বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটানোর সময় পেয়ে যাই।

বাড়িতে সবাই বকুলকে দেখে কী বলে?

বাইরে আমি হিরোইন, স্টার। কিন্তু বাড়িতে? বাড়িতে আমি হচ্ছি, ‘অ্যা, এই চল তো, চল।’- মানে এ রকম একটা ব্যাপার (প্রাণ খুলে হাসি)। আমার মা-বাবা ছোট থেকে একটা জিনিস শেখায় যে পা যেন সব সময় মাটিতে থাকে। তো বাড়িতে আমি একদম বাড়ির মেয়ে।

অভিনয় নিয়ে আপনার মা কিছু বলেন?

হ্যাঁ। সবথেকে বড় ফিডব্যাক আমি মায়ের থেকে পাই। কারণ, মা খুব নিউট্রাল। মা আমাকে নিজের মেয়ে হিসেবে ফিডব্যাক দেয় না। একজন অভিনেতাকে যে ভাবে সমালোচনা করা উচিত সেটাই আমার মা করে। মা আমার সবচেয়ে বেশি সমালোচনা করে। তবে হ্যাঁ, ভাল লাগলে সেটাও বলে।

ফ্যানেরা শুভেচ্ছা পাঠায়?

হ্যাঁ, শুভেচ্ছা তো আসেই। কিন্তু আমাকে সবচেয়ে টাচ করে, আমি হয়তো কোথাও গিয়েছি, সেখানে কোনও বাচ্চা বা বয়স্ক মহিলা... তারা মানে বকুল বলতে পাগল। বকুল এখন তাদের জীবনের অঙ্গ হয়ে গিয়েছে। আমাকে সামনে পেয়ে তারা আদর করে, জড়িয়ে ধরে। জিজ্ঞেস করে, আমি সত্যি সত্যি বাইক চালাতে পারি কি না। আমার চুল সত্যি সত্যি অত ছোট কি না। এগুলো খুব ভাল লাগে। বাচ্চা ও বয়স্ক মানুষদের কাছে অ্যাকসেপ্টেড হওয়া একটা বড় পাওনা।

কোনও ফ্যান প্রেম প্রস্তাব দিয়েছে?

জানি না এটা ভাল দিক না কি খারাপ দিক, আমাদের জেনারেশন ফ্যানের কাছে খুব সহজে পৌঁছে যেতে পারে। মানে, ফ্যানরাও সহজে তাদের স্টারদের কাছে পৌঁছে যায়। কোনও কোনও সময় অবশ্যই ভাল। কিন্তু আমার যেটা মনে হয়, একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত জীবন থাকা খুব দরকার। আমি কোথায় যাচ্ছি, কি করছি সবটা সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে ফ্যানরা জেনে যাচ্ছে। আমি খুব ট্যাক্টফুলি বিষয়গুলো হ্যান্ডল করি। প্রেম প্রস্তাব কেউ দেয়নি।

কেউ দেয়নি?

না। ‘ভাল লাগে’, ‘আমি তোমার কাজ খুব অ্যাপ্রিসিয়েট করি’, ‘তুমি দেখতে খুব সুন্দর’- এত পর্যন্ত গিয়েছে। কিন্তু প্রেম প্রস্তাব পর্যন্ত কেউ যেতে পারেনি (হাসি)। আর বকুল শুরু হওয়ার পর সবাই আমাকে দিদি বলে ডাকে। তো আমার ওই চাপটাই নেই (অনেক ক্ষণ ধরে হাসতেই থাকেন তিনি)।

Ushasi Roy Bakul kotha Tollywood Celebrity বকুল কথা টলিউড
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy