তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছে ‘ধকড়’-এ, ছবিটি বক্স অফিসে শোচনীয় ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
কখনও কাজ, কখনও বিতর্কে রোজই প্রায় শিরোনামে থাকেন পরিচালক-অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। বিস্ফোরক মন্তব্যে নয়, এ বার নিজের সঙ্গে প্রবীনা অভিনেত্রীর তুলনা টেনে সকলকে তাজ্জব করলেন তিনি।
কঙ্গনা তাঁর অল্প বয়সের চেহারার মিল খুঁজে পেলেন পুরনো দিনের বিখ্যাত অভিনেত্রী মধুবালার সঙ্গে। মধুবালার প্রয়াণবার্ষিকীতে কঙ্গনা জানালেন, শুরুর দিনগুলোতে তাঁকে অল্প বয়সের মধুবালার মতো দেখতে লাগত। মধুবালা ও তাঁর ছবির একটি কোলাজ ভাগ করে নিয়ে ইনস্টাগ্রামে কঙ্গনা লেখেন, “মানুষ যেমন চান, আমি পর্দায় মধুবালা হয়ে যাই। তাই ভেবে দেখলাম। আমি যখন অভিনয় করতে শুরু করেছিলাম, মধুবালার অল্প বয়সের প্রতিরূপ ছিলাম কি?”
কালো ব্লাউজ় আর স্কার্ট পরা একার একটি ছবিও ভাগ করে নিয়ে কঙ্গনা নিজেই যেন বিস্মিত হয়ে লিখেছেন, “হায় ভগবান! ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আমার সেই প্রথম বছর।” তাঁর সঙ্গে মধুবালার কি আদৌ তুলনা হয়? তা নিয়ে জোরদার জল্পনা সমাজমাধ্যমে। কেউ হাসছেন, কেউ কাঁদছেন কঙ্গনার নতুন ভাবনায়।
প্রসঙ্গত, গত শতাব্দীর চল্লিশ-পঞ্চাশ দশকে এবং ষাটের দশকের প্রথম দিকে মধুবালা ছিলেন বলিউডের অন্যতম বড় তারকা। ১৯৬০-এ দিলীপ কুমার ও মধুবালা অভিনীত ‘মুঘল-ই-আজ়ম’ ভারতে তৈরি অন্যতম বড় ছবি। ‘নীল কমল’(১৯৪৭), ‘মহল’(১৯৪৯), ‘তারানা’(১৯৫১), ‘চলতি কা নাম গাড়ি’(১৯৫৮), ‘হাফ টিকিট’( ১৯৬২) ইত্যাদি ছবিতে তাঁর অভিনয় স্মরণীয় হয়ে আছে। মাত্র চুয়ান্ন বছর বয়সে তিনি প্রয়াত হন।
অন্য দিকে, কঙ্গনার অভিনয় জীবন শুরু হয় ২০০৬- এ ‘গ্যাংস্টার’ ছবির মাধ্যমে। তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছে ‘ধকড়’-এ, ছবিটি বক্স অফিসে শোচনীয় ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। ‘চন্দ্রমুখী ২’ নামে একটি তামিল ছবিতে কাজ করছেন তিনি, সেই কারণে শিখছেন শাস্ত্রীয় নৃত্যও। কঙ্গনার পরিচালনা ও প্রযোজনায় মুক্তি পাবে ‘ইমার্জেন্সি’। এই ছবিতে তিনি ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। হাতে রয়েছে ‘তেজস’-এর মতো ছবিও, যেখানে বায়ুসেনার বিমানের চালক হিসাবে দেখা যাবে কঙ্গনাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy