চিত্রনাট্যের জন্য ছবিতে ঘনিষ্ঠ দৃশ্য ও শ্লীলতাহানির দৃশ্য রাখা হয়। অধিকাংশ অভিনেতা-অভিনেত্রী এই ধরনের দৃশ্যে প্রথম থেকেই সাবলীল ভাবে অভিনয় করেন। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে প্রথম সারির অভিনেত্রীরাও ইতস্তত বোধ করেন। ঠিক সে রকমই শ্লীলতাহানির দৃশ্যে অভিনয় করতে হবে শুনে কেঁদে ফেলেছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। সম্প্রতি এমনটাই জানালেন অভিনেতা রঞ্জিত। ‘প্রেম প্রতিজ্ঞা’ ছবির খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ঘটনাটি ১৯৮৯ সালে মুক্তি পাওয়া সেই ছবির। মাধুরীর বিপরীতে ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে ছিলেন সতিশ কৌশিক এবং বিনোদ মেহরা। ছবি্র পরিচালক প্রয়াত বাপু ( আসল নাম সত্তীরাজু লক্ষীনারায়ণ) ।
রঞ্জিতের কথায়, “দৃশ্যের বিবরণ শুনে চোখের জল ফেলেছিলেন মাধুরী। সেই দৃশ্যে অভিনয় করতে রাজি হননি। আমি একদমই অবগত ছিলাম না এই বিষয়ে। একজন শিল্প নির্দেশক আমাকে জানান পুরো বিষয়টি।”
আরও পড়ুন:
এই ধরনের দৃশ্যে কখনওই জোর করেন না রঞ্জিত বরং যথাসম্ভব পেশাদারিত্ব মেনে চলেন। রঞ্জিত বলেন, “মাধুরীর কান্নাকাটি চলতে থাকে। আমার অন্য শুটিং ছিল। সেটের লোকজনদের মাধুরীকে ফোন করতে বলেছিলাম। কিন্তু কেউ আমাকে জানায়নি যে, মাধুরী রাজি হচ্ছেন না! শেষ পর্যন্ত যদিও মাধুরী রাজি হয়ে যান।”
“ফাইট মাস্টার ভিরু দেবগণ বলেছিলেন, ক্যামেরা চলতেই থাকবে। মাঝে কোনও কাট দেওয়া হবে না। শ্লীলতাহানির দৃশ্যটি আমাদের কাজেরই অংশ। খলনায়ক মানেই খারাপ লোক নয়। আমার সব সহ-অভিনেত্রীরা আমাকে পছন্দ করতেন কারণ আমি কখনও বল প্রয়োগ করিনি”, যোগ করেন রঞ্জিত।
ছবির সেটেও চুটিয়ে মজা করতেন। “শিল্প নির্দেশক বাঙালি। কিন্তু পরিচালক দক্ষিণী। সেটে মজা হত। আমি সহ-অভিনেতাদের বলতাম, ‘প্রিয়তম, একটু ও-দিকে মুখ ঘোরাও তো, আমি পোশাক বদলে ফেলি। এমনকি সাজঘরেও যেতে অভ্যস্ত ছিলাম না। সকলে আমাকে এই ভাবেই গ্রহণ করেছিলেন। না হলে তো আমাকে নকল মনে হত”, স্মৃতির পাতায় ডুব দিয়েছিলেন অভিনেতা।