নব্বইয়ের দশকে নাকি গভীর প্রেম ছিল নার্গাজুন ও তব্বুর। প্রেমের এমন টান যে মুম্বই ছেলে হায়দরাবাদ চলে যান অভিনেত্রী। প্রায় দশ বছর সম্পর্কে ছিলেন তাঁরা। সেই সময় নার্গাজুন বিবাহিত অমলা আক্কিনেনির সঙ্গে। তব্বু চেয়েছিলেন নাগার্জুন তাঁর স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে তাঁকে বিয়ে করুক। সে জন্য দশ বছর অপেক্ষাও করেন তিনি। কিন্তু বছর দশেক পর তব্বু বুঝতে পারেন, নাগার্জুনের পক্ষে বিবাহবিচ্ছেদ করা অসম্ভব। তাই সম্পর্ক ভেঙে মুম্বই ফিরে আসেন তব্বু। সম্পর্ক ভাঙলেও নাগার্জুনকে মন থেকে মুছতে পারেননি তব্বু। স্বামীর পরকীয়ার খবর শুনে কী প্রতিক্রিয়া দেন অমলা?
আরও পড়ুন:
১৯৯৮ সালে মুক্তি পায় রোম্যান্টিক কমেডি ঘরানার তেলুগু ছবি ‘আভিড়া মা আভিড়ে’। এই ছবির শুটিং করতে গিয়েই তব্বুর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন নাগার্জুন। তার আগে পরিচালক সাজিদ নাদিয়াওয়ালার সঙ্গে তব্বুর সম্পর্কের গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। সাজিদের প্রথম স্ত্রী অভিনেত্রী দিব্যা ভারতী মারা যাওয়ার পরে তব্বুকেই বিয়ে করবেন বলে ঠিক করেছিলেন। কিন্তু তব্বু মন দিয়ে বসেন নাগার্জুনকে। ‘কফি উইথ কর্ণ’-তে নাগার্জুনকে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সরাসরি বলেছিলেন, ‘‘জীবনে বহু প্রেমিক এসেছেন এবং গিয়েছেন। কিন্তু নাগার্জুন আমার অন্যতম কাছের মানুষ। আমার খুব ভাল বন্ধু।’’ তব্বুর সঙ্গে স্বামীর সম্পর্কের গুঞ্জন চলাকালীন সে প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি নাগার্জুনের স্ত্রী অমলা। কিন্তু তব্বু হায়দরাবাদ থেকে মুম্বই ফিরে আসার পর অমলা প্রথম মুখ খুলেছিলেন। স্বামীর চর্চিত প্রেমিকা প্রসঙ্গে অমলার মন্তব্য ছিল, ‘‘তব্বুর সঙ্গে যোগাযাগ আছে। আমি জীবনে খুব সুখী। আমার সংসার মন্দিরের মতো। আমার স্বামীকে নিয়ে এ ধরনের কোনও চর্চাকে একেবারেই সমর্থন করি না। আমি চাই আমার সংসার এ সবের থেকে দূরে থাকুক। এই ধরনের খবর একেবারেই মিথ্যে।’’