পহেলগাঁও কাণ্ডের ঠিক ১৫ দিনের মাথায় পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটির উপর প্রত্যাঘাত হেনেছিল ভারতীয় সেনা। দেশের সর্বত্র এই ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর জয়জয়কার হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনীর হয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিংহ, সঙ্গী ছিলেন বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী। প্রথমত মহিলা, দ্বিতীয়ত ভিন্ধর্ম। এই বিষয় দু’টি চোখ এড়ায়নি কারও। নেটাগরিকেরা দাবি করেছিলেন, ভারত যে ধর্মনিরপেক্ষ দেশ, তা আরও এক বার প্রমাণিত। এ বার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন নিমরত কৌর।
ভারতীয় সেনার সমর্থনে পর পর নিজের মতামত জানিয়েছিলেন নিমরত। এ বার ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে অভিনেত্রী বললেন, “দেশ হিসাবে এই বার্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই দেশ যে কতটা ধর্মনিরপেক্ষ ও মহিলাদের প্রথম সারিতে রাখতে সক্ষম সেই বার্তা স্পষ্ট হয়েছে। আগামী দিনে তাই আলাদা করে এমন ইচ্ছে রাখার প্রয়োজন পড়বে না। আমাদের মন্ত্রক, রাজনৈতিক পদ ও সেনাবাহিনীতে আমরা মহিলাদের স্থান দেখতে পাচ্ছি।”
আরও পড়ুন:
দুই মহিলা ভারতীয় সেনাবাহিনীর হয়ে বিবৃতি দিচ্ছেন। এই বার্তায় মুগ্ধ নিমরত। তাই তিনি বলেছেন, “এর চেয়ে ভাল বার্তা আর কিছু হতে পারে না। এই গোটা অভিযানের প্রথম সারিতে মহিলারা থাকছেন, এর চেয়ে শক্তিশালী বার্তা আর কীই বা হতে পারে!”
সীমান্ত এলাকায় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধেও এই সাংবাদিক বৈঠক বিশেষ বার্তা দিয়েছে বলে মনে করেন নিমরত। এক দিকে সন্ত্রাস, অন্য দিকে দুই মহিলা সন্ত্রাসের বিরোধিতা করছেন। এই বিষয়টি পহেলগাঁও কাণ্ডেরও উপযুক্ত জবাব বলে মত অভিনেত্রীর। নিমরতের বাবাও পেশায় ছিলেন সেনা আধিকারিক। তাই এক সময়ে তিনি নিজেও সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন।