ফের বিতর্কে জড়িয়েছেন ভোজপুরি অভিনেতা-রাজনীতিক পবন সিংহ। সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো ভাগ করে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী জ্যোতি সিংহ বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। জ্যোতিকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পবনের বিরুদ্ধে। এ বার মুখ খুললেন পবন।
সোমবার সকাল থেকে সমাজমাধ্যমে ভাইরাল জ্যোতির ভিডিয়ো। হাউহাউ করে কাঁদছেন আর বলছেন, “পবনের লখনউয়ের বাড়িতে ঢুকতে পারলাম না। আমাকে পুলিশ দিয়ে আটকানো হয়েছে! আবার থানায় নিয়ে যেতে চাইছে। এ রকম কিছু ঘটলে এই বাড়িতেই বিষ খেয়ে মরব। তখন যেন আমার শোকে কেউ মোমবাতি জ্বালাবেন না!” তবে এই দাবি একেবারেই অস্বীকার করেছেন পবন।
জ্যোতির অভিযোগের উত্তরে পবনের দাবি, স্ত্রীকে কখনওই বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেননি তিনি। অভিনেতার বক্তব্য, খুব সম্মানের সঙ্গে নিজেই জ্যোতিকে বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তিনি। এমনকি তাঁদের মধ্যে বেশ অনেক ক্ষণ গল্প, আড্ডাও হয়। নিজের বিবৃতিতে অভিনেতার প্রশ্ন, “তা হলে এটা কি মিথ্যা যে, গতকাল সকালে আপনি যখন আমার সোসাইটিতে এসেছিলেন, আমি আপনাকে সসম্মানে আমার বাড়িতে ডাকি এবং প্রায় ঘণ্টাদেড়েক আমাদের কথা হয়?” পবনের আরও দাবি, জ্যোতি নাকি এসে থেকে নাগাড়ে একটাই কথা বলেছেন, “যে ভাবেই হোক আমাকে ভোটে দাঁড় করান।” পবনের জবাব, “এটা তো আমার হাতে নেই।”
আরও পড়ুন:
জ্যোতি নিজের ভিডিয়োয় অভিযোগ করেছিলেন, পবনের বাড়ির সামনে পুলিশ আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন। সেই প্রসঙ্গে পবনের দাবি, “পাড়ায় একটা ভুল তথ্য রটিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, আমি নাকি পুলিশ ডেকেছিলাম। কিন্তু আসল কথা হচ্ছে পুলিশ আধিকারিকেরা সেখানে সকাল থেকেই উপস্থিত ছিলেন। আপনি বা আপনার সঙ্গে কেউ এসে যাতে অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা না ঘটায় সেটা নিশ্চিত করতেই ওঁরা উপস্থিত ছিলেন।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমি জীবনে একটা কথাই বুঝি, সাধারণ মানুষ আমার কাছে ঈশ্বরের সমান। যাঁদের জন্য আমি আজ এখানে পৌঁছেছি তাঁদের আবেগে আঘাত কখনও করব না আমি।”
জ্যোতি ও পবনের মধ্যে কেন এই দূরত্ব? জ্যোতির দাবি, তাঁর উপস্থিতিতে অন্য এক মহিলাকে নিয়ে হোটেলে রাত কাটিয়েছেন পবন। বাধা দেওয়ায় জ্যোতিকে নাকি খুনের চেষ্টাও করেছেন তাঁর স্বামী! এর পরেই তিনি অভিনেতা-রাজনীতিবিদের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। কটাক্ষ করেন সমাজমাধ্যমে, যিনি নারীকে সম্মান করতে পারেন না তিনি নাকি সমাজসেবা করবেন! জ্যোতির দাবি, সেই কারণেই তাঁকে নিজের বাড়িতে ঢুকতে বাধা দিয়েছেন পবন। যদিও প্রশাসন এ কথা মানতে নারাজ।