১১ অগস্ট মুক্তি পাচ্ছে রাজ চক্রবর্তীর ‘ধর্মযুদ্ধ’।
২০২০ থেকে ২০২২। দু'বছরের অধীর অপেক্ষার পর ১১ অগস্ট মুক্তি পাচ্ছে রাজ চক্রবর্তীর ‘ধর্মযুদ্ধ’। খবর ছড়াতেই আচমকা তোপ বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের। তাঁর নিশানায় ছবির অন্যতম অভিনেতা পার্নো মিত্র। পার্নোও বিজেপির সদস্য। তার পরেও তাঁকে কটূক্তি। রাজের ছবিকে ‘ভন্ডামি’ আখ্যাদান। এবং ছবি বয়কটের ডাক তাঁর।
সে দিন রাজ মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন। বুধবার আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভ আড্ডায় ধুইয়ে দিলেন পদ্ম শিবিরের বর্ষীয়ান নেতাকে। এ দিন নিজের ছবি নিয়ে টানটান জবাব রাজের, ''দর্শকদের কাছে আন্তরিক অনুরোধ, আপনারা সবাই ছবিটা দেখুন। তার পর না হয় ‘ধর্মযুদ্ধ’কে বাতিলের কথা ভাববেন!''
রাজ ভালোবাসার গল্প বলেন। রাজ সম্পর্কের স্তর খুঁজতে ভালবাসেন। একই মুন্সিয়ানায় রাজনীতির ছবিও বানাতে পারেন। ‘প্রলয়’ তাঁর জলজ্যান্ত উদাহরণ। সেই তালিকাভুক্ত ‘ধর্মযুদ্ধ’ও। যেখানে নানা ধর্মের মানুষ নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় মরিয়া। এবং তাঁদের সেই লড়াই ছাপিয়ে জিতে যায় মানবতা। ছবিটি গত কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সবার প্রশংসা কুড়িয়েছে। সেই জায়গা থেকেই রাজের দাবি, ২০২২-এ দাঁড়িয়েও যদি তাঁর ছবি সমাজকে কোনও বার্তা না দিতে পারে তা হলে এত বছর ছবি বানিয়ে কী করলেন?
এর আগে আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া একাধিক সাক্ষাৎকারে পরিচালক জানিয়েছিলেন, এক সময় দেশে ধর্মের নামে সংকীর্ণতা নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছিল। তার প্রতিবাদ জানতেই এই ছবি। তা হলে কি রাজের নিশানায় বিরোধী দল? তারও জবাব দিয়েছেন ‘পরিণীতা’র পরিচালক। তাঁর কথায়, আদ্যন্ত রাজনৈতিক ছবি। যার গল্প দেশের বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে মিলে যায়। নিশ্চয়ই কোনও না কোনও রাজনৈতিক দলের ভাবনা জায়গা করে নিয়েছে ‘ধর্মযুদ্ধ’য়। তবে তিনি কিন্তু কোনও দলের নাম করেননি। এটা বুঝে নেওয়ার দায় দর্শকদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy